বাংলাহান্ট ডেস্ক: হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র স্মিতা পাটিল (smita patil)। বলিউডের চিরকালীন প্রতিভাবান অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। তাঁর অভিনয়ে আসাটা খুব অদ্ভূত ভাবে হয়েছিল, কিন্তু তিনি প্রমাণ করে দেন যে অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মুগ্ধ করে দেওয়ার জন্যই তৈরি হয়েছিল স্মিতা পাটিলের মতো নাম। কিন্তু এমন নক্ষত্রকে বেশিদিন ধরে রাখতে পারেনি বলিউড। অকাল মৃত্যু হয়েছিল অভিনেত্রীর।
পুনের এক মরাঠি পরিবারে জন্ম স্মিতার। প্রথমে দূরদর্শনে একজন সংবাদ পাঠিকা ছিলেন তিনি। পাশাপাশি ক্যামেরার পেছনেও কাজ করতেন স্মিতা। এভাবেই একজন পরিচালক শ্যাম বেনেগালের নজরে পড়েন তিনি। সংবাদ পাঠিকা থেকে শুরু হয় তাঁর অভিনয় সফর।
‘চরণদাস চোর’ ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন স্মিতা। সেটা ১৯৭৫ সাল। অচিরেই স্মিতার গুরুত্ব অনুভব করতে থাকে সিনেজগৎ। পরিচালক প্রযোজকদের নজর কাড়তে থাকেন তিনি। তৈরি হয় আক্রোশ, মন্থন, চিদাম্বরমের মতো ছবি। হিন্দির পাশাপাশি মৃণাল সেনের পরিচালনায় ‘আকালের সন্ধানে’ নামে একটি বাংলা ছবি এবং সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ‘সদগতি’ নামে হিন্দি ছবিতে কাজ করেছিলেন স্মিতা।
অভিনেতা রাজ বব্বরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন স্মিতা পাটিল। দুজনের একমাত্র ছেলে প্রতীক বব্বরও (prateik babbar) একজন অভিনেতা। তবে তেমন নাম করতে পারেননি তিনি। স্মিতার মৃত্যুটাও খুব ট্র্যাজিক। ছেলে প্রতীককে জন্ম দেওয়ার সময় জটিলতার কারণে মাত্র ৩১ বছর বয়সে মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর।
https://www.instagram.com/p/CXaxp6VFZKn/?utm_medium=copy_link
জন্মের পর থেকেই মাতৃহারা প্রতীক। কিন্তু মাকে নিজের দেবদূত বলে মনে করেন তিনি। ১৩ ডিসেম্বর প্রয়াত হন স্মিতা। প্রত্যেক বছর মায়ের ছবি শেয়ার করে আবেগঘন বার্তা দেন তিনি। এর আগে প্রতীক লিখেছিলেন, মাকে তিনি সজ্ঞানে কখনো দেখেননি ঠিকই, কিন্তু কল্পনায় বহুবার তাঁদের দেখা হয়েছে। প্রতীকের চোখে তিনিই সেরা মা। প্রতীক লেখেন, ‘প্রতি বছর তিনি আরো তরুণী হয়ে ওঠেন। এখন তিনি ৬৫ বছরের তরুণী। আমার সঙ্গে চিরদিন বেঁচে থাকবেন তিনি। চিরকাল এবং তার পরেও।’