বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিজেপি (bjp)অন্দরের কোন্দল যেন থামার নামই নিচ্ছে না। মাঝে কদিন চুপ থাকলেও, ফের দেখা দিল ‘হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহ’ রোগ। এবার বিজেপির অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (shantanu thakur)।
সম্প্রতি জানা গিয়েছে, সদ্য গঠিত বিজেপির রাজ্য কমিটিতে মতুয়া-প্রতিনিধিদের সেভাবে জায়গা দেওয়া হয়নি, বলেই নাকি দলের প্রতি ক্ষোভ বেড়েছে কিছু বিধায়কের। যার কারণেই তাঁরা দলের হোয়াটস অ্যাপ ছেড়ে দিয়েছেন। সূত্রের খবর, এই ৫ বিধায়করা হলেন অশোক কীর্তনিয়া, মুকুটমণি অধিকারী, সুব্রত ঠাকুর, অসীম সরকার এবং অম্বিকা রায়। আবার পরবর্তীতে তাঁদের মধ্যে এক বিধায়ক নিজের ভুল শুধরে আবার মনে দিয়ে কাজও করছেন বলে জানা গিয়েছে।
আবার দীর্ঘ ৫ বছর ধরে বিজেপি-র অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সায়ন্তন বসু। কিন্তু তালিকা প্রকাশের পর, কমিটিতে তাঁর নামই আর দেখা গেল না। যার ফলে দলের প্রতি কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেই বেরিয়ে যান সায়ন্তন বসু। এবিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘রাজ্য কমিটিতে না থাকলে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে থাকাটা তো স্বাভাবিক নয়। তাই বেরিয়ে গেছি’।
এবার এই ক্ষোভ দেখা গেল শান্তনু ঠাকুরের মধ্যেও। সূত্রের খবর, সোমবারই বিজেপির সমস্ত অফিশিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। নিজের এই কাজের কথা স্বীকার করলেও, ‘অভিমান’র কারণ অবশ্য স্পষ্ট ভাবে কিছু বলেননি তিনি। তবে তাঁর বক্তব্য, ‘সময়মত জানাবো গ্রুপ ছাড়ার কারণ। বিজেপিতে আমরা নিষ্প্রয়োজন বলে মনে হওয়াতেই গ্রুপ ছেড়েছি’।
তবে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নিজের সমস্যা নিয়ে আজই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা