বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বুধবারে পাঞ্জাবে কৃষক বিক্ষোভের মুখে পড়ে পরিকল্পিত সভা বাতিল করতে হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (narendra modi)। ঘনকুয়াশার জেরে ভাতিন্দা বিমানবন্দর থেকে হুসেইনিওয়ালায় কপ্টারে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে, সড়ক পথে বিরাট কনভয় নিয়ে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রীর পথ আটকায় কৃষকরা। যে কারণে উড়ালপুল থেকেই ইউটার্ন মেরে প্রধানমন্ত্রীর কনভয় ফিরে যায় ভাতিন্দা বিমানবন্দরে। এই ঘটনায় আধিকারিকদের উদ্দেশে ক্ষোভ বর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জীবিত ফিরে আসতে পেরেছি, এটাই অনেক’।
এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ছিছিক্কার পড়ে গেলেও, এবিষয়ে কৃষকদের পক্ষেই রয়েছে বামেরা। শুধু তাই নয়, পাঞ্জাব মডেলে কলকাতায় কিভাবে প্রধানমন্ত্রীকে আটকে দেওয়া যায়, সেই ফন্দি ফিরিক ভাবতে শুরু করে দিয়েছে বামেরা।
বিষয়টা হল, এপ্রিলে ২০-২১ নিউটাউনের বিশ্ববঙ্গ কনভোকেশন সেন্টারে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি এখানে আসার জন্য মত প্রকাশও করেছেন প্রধানমন্ত্রী- এমনটা জানা গিয়েছে। আর ওদিনই প্রধানমন্ত্রীকে রাস্তায় আটকানোর ফলে, মুখ্যমন্ত্রী উত্তেজিত হতেই সবুজ-গেরুয়া সখ্য তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে লালদের।
এবিষয়ে একটি সংবামাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দেশ চালানোর ধরণের কারণে, পাঞ্জাব নয়, তিনি যেখানেই যাবেন, সেখানেই এমন বিক্ষোভ হবে। কলকাতাতেও হতে পারে। আর তখনই দেখা যাবে মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণবাজি আসলে সত্য নাকি মুখোশ!’
যদিও এবিষয়ে এখন থেকেই পরিকল্পনা করতে শুরু করে দিয়েছে বামেদের দল। সূত্রের খবর, বামেদের অন্দরে আলোচনার চলছে- করোনার প্রকোপ কমার পর যদি বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হয় এবং সেখানে যদি প্রধানমন্ত্রী আসেন, তাহলে তাঁকে আটকানোর পরিকল্পনা মার্চ থেকেই শুরু করে দেওয়া হবে। কিভাবে ঘেরা হবে বিমানবন্দর, কিভাবেই বা আটকানো হবে প্রধানমন্ত্রীকে- এসব আলোচনা চলছে বামেদের অন্দরে।