বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ট্রলার থেকে জাল গোটাতেই জালে বেঁধে গেল বিশালাকার এক মাছ। আর সেটাকে টেনে তুলতে রীতিমত হিমশিম খেয়ে যায় মৎস্যজীবীরা। অতিকষ্টে টেনে তুলতেই দেখা গেল জালে বেঁধেছে দৈত্যাকৃতির এক ছাতাকৃতি মাছ। যা দেখে, মুহূর্তেই চিনতে পারে মৎস্যজীবীরা।
প্রথমটায় না বুঝতে পারলেও, পরে তোলার পর মৎস্যজীবীরা ভালো করে দেখেন সেটি ছাতা মুরুলি মাছ। শংকর মাছেরই এক প্রজাতিকে স্থানীয়রা বলে ছাতা মুরুলি মাছ। তিন মৎস্যজীবী মিলে ট্রলারে করে হুগলি নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে শান্তনু দাস নামে এক মৎস্যজীবীর জালেই ধরা পরে এই মাছ।
বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর দ্বীপের মহিষমারীতে মৎস্যজীবীর জালে এই মাছ ধরা পরার পর চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় মৎস্যজীবীদের। এবিষয়ে তাঁরা জানান, বর্তমান সময়ে এই মাছ বিরল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এইভাবে জালে এই মাছ ওঠায় তাঁরা খুবই আনন্দিত।
দিন আনে দিন খাওয়া শান্তনু দাসের জালে এই মাছ ওঠায় তাঁর সঙ্গীরাও বেশ খুশি। আর এই মাছ সচরাচর পাওয়াও যায় না বলে জানায় তাঁরা। নতুন বছরেই বেশ এক খুশির ঘটনা ঘটায় ওই মৎস্যজীবীর পরিবারেও খুশির জোয়ার বইছে।
অনেক কষ্টে সেটিকে সাগরের মহিষামারী হাতি পিটিয়া ঘাটে নিয়ে গিয়ে মাছটিকে ওজন করে গঙ্গাসাগর মাছের আড়তে নিয়ে যাওয়া হয়। ওজন করতেই দেখা যায়, মাছটির ওজন প্রায় ১৬০ কিলো। সেখানে ২৩ হাজার টাকা দর ওঠার পর কলকাতার এক পাইকারি ব্যবসায়ী সেই মাছটি কিনে নেন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা