বাংলা হান্ট ডেস্ক: “হ্যাঁ, আমরা রাজমিস্ত্রি। কিন্তু তাতে কী হয়েছে? রাজমিস্ত্রি বলে কি আমাদের মন থাকতে নেই?” গত বৃহস্পতিবার হাওড়া আদালতে এসে এই প্রশ্নই করেছেন বালির নিশ্চিন্দা এলাকা থেকে দুই গৃহবধূ নিখোঁজ কাণ্ডে অভিযুক্ত দু’জন রাজমিস্ত্রি শুভজিৎ দাস এবং চন্দ্রশেখর মজুমদার।
পাশাপাশি, রিয়া এবং অনন্যা নামের ওই দুই গৃহবধূ কেমন আছেন তা নিয়ে আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন তাঁরা। ওঁদের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে থাকলেও বর্তমানে সে উপায় আর তাঁদের নেই। অনন্যা, রিয়া এবং শেখরের ফোন এখন রয়েছে পুলিশের হেফাজতে। যে কারণে তাঁরা যোগাযোগ করতে পারছেন না রিয়া-অনন্যার সাথেও!
এই প্রসঙ্গে তাঁরা জানান যে, “আমাদের মন খুব খারাপ। রিয়া-অনন্যার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছি না। পুলিশ আমাদের ফোনগুলি আটকে রেখেছে। রিয়াদের সঙ্গে কথা বলার জন্য আমাদের কাছে যোগাযোগের কোনও নম্বর নেই। থানায়ও যেতে ভয় পাচ্ছি। যে ভাবেই হোক রিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।” পাশাপাশি, কাজকর্মে মন বসছে না বলেও জানান তাঁরা।
এদিকে, বৃহস্পতিবারই আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে শেখর এবং শুভজিৎ জানিয়েছিলেন, আইনি পথেই প্রেমের পরিণতি চান তাঁরা। রিয়া-অনন্যাকে বিয়ে করে দু’জনেই ঘর-সংসার করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু, আদৌ তাঁদের প্রেম পরিণতি পায় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সকলে।
এই প্রসঙ্গে রাজমিস্ত্রিদের আইনজীবী শীর্ষ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত তিনটি ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাঁদের চূড়ান্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযোগকারী অর্থাৎ অনন্যার স্বামী পলাশ কর্মকারের কাছে সমন যাবে। তারপর তাঁরা যদি আইনি পথে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়ে ঘর সংসার করতে চান তা হলে সেটা করতে পারেন। আর যদি রিয়া-অনন্যাদের কর্মকার পরিবার ফিরিয়ে না নেয়, সেক্ষেত্রে মামলা নিষ্পত্তির পরে বিবাহ-বিচ্ছেদ হলেই শেখর-চন্দ্রশেখরের প্রণয় পরিণতি পাবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে শ্রীরামপুরে শীতের পোশাক কিনতে যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। সঙ্গে ছিল একজনের সন্তানও। তারপরই তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যায়। কর্মকার পরিবারের তরফে নিশ্চিন্দা থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্তে নেমে পুলিশ পুরো বিষয়টি জানতে পারে।
‘বিজেপির মেদ হয়েছে…’ বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দুকে নিয়েও বড় মন্তব্য প্রবীণ নেতার