পুলিশ সেজে গৃহবধূদের দিয়ে রাতের কলকাতায় লুটপাট চালাতেন নেতা, পড়লেন ধরা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বেশ রাত হয়েছে, চারপাশে গাড়িও কম। এমন সময় এক গাড়ি থামিয়ে পুলিশ অফিসার এসে বললে, তাঁর বাড়ির মহিলাদের একটু সাহায্য করতে। একটি নির্দিষ্ট ঠিকানায় নামিয়ে দিতে। গাড়ির চালকও ভালো মনে তাঁদের গাড়িতে তুলে নিলেন এবং সঠিক স্থানে নামিয়েও দিলেন। কিন্তু তারপর…।। দেখা যায়, চালকের গাড়িতে থাকা ব্যাগ, ল্যাপটপ সব উধাও!

কি ভাবছেন কোন সিনেমার দৃশ্যপট! একেবারেই না। খাস কলকাতায় রাতের শহরে এমনই এক ঘটনার শিকার হলেন রবীন্দ্র সরোবরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০ টা নাগাদ বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন দক্ষিণ কলকাতার রবীন্দ্র সরোবর থানা এলাকার মতিলাল নেহরু রোডের এক বাসিন্দা। গাড়িতে ছিল তাঁর ব্যাগ, ল্যাপটপ এবং বেশ কিছু মূল্যবান বস্তু।

WB By Election Kolkata Poli

পরমা আইল্যান্ডের কাছে আসতেই চালক অর্থাৎ ওই ব্যক্তি দেখেন এক পুলিশ কর্মী তাঁকে থামতে বলছে। কাছে এগিয়ে আসতেই সেই পুলিশ আধিকারিক বলেন, বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় রাতের শহরে গাড়ির সংখ্যা কম। তাই অনুষ্ঠান ফেরত তাঁর পরিবারের মহিলাদের যেন একটু চিংড়িঘাটা পর্যন্ত গাড়িতে লিফট দেওয়া হয়।

ব্যক্তিও পুলিশের কথায় রাজী হয়ে ওই মহিলাদের গাড়িতে করে সঠিক স্থানে নামিয়ে দেন। আর নামিয়ে দেওয়ার পরই খেয়াল করেন গাড়ির ব্যাক সিটে থাকা তাঁর ব্যাগ, ল্যাপটপ এবং বেশ কিছু মূল্যবান বস্তু কিছুই নেই গাড়িতে। সব উধাও! তখনই বিষয়টা আন্দাজ করতে পারেন বলে জানান ওই ব্যক্তি।

ওই রাতেই প্রগতি ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করতেই সিসিটিভির ফুটেজে পুলিশ দেখে, পুলিশের পোশাক পরিহিত এক ব্যক্তিকে। তারপর সেই ‘পুলিশ আধিকারিক’র ছবি আশেপাশে দেখাতেই জানা যায়, ওই ব্যক্তি আসলে স্থানীয় একটি অটো ইউনিয়নের নেতা বিশ্বনাথ দে।

খোঁজ নিয়ে সল্টলেকের নবপল্লিতে ওই ‘ভুয়ো পুলিশ’র বাড়িতে হানা দিতেই সব পরিষ্কার হয়ে যায়। জানা যায়, স্ত্রী মীরা দে ও ভাই শিবুর স্ত্রী লক্ষ্মী এবং সঙ্গে আর এক মহিলাকে দিয়েই এইসব করাতেন তিনি। তাঁদের গ্রেফতার করতেই সব চুরির জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর