বাংলাহান্ট ডেস্ক: বহুদিন পর ক্যামেরার সামনে কামব্যাক করেছেন দেবশ্রী রায়। তাও আবার ছোটপর্দায়। ‘সর্বজয়া’ (sarbajaya) সিরিয়ালে একজন সাধারন, নিপীড়িত গৃহবধূর ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। নিজের পরিবারের সদস্যদের থেকেই লাঞ্ছনা সহ্য করেও কীভাবে স্বামীকে সুস্থ করে তোলা থেকে ব্যবসার কাজকর্ম শিখছেন তিনি সেটাই উঠে আসছে গল্পে।
সিরিয়াল শুরুর আগে থেকেই ট্রোলের মুখে পড়েছিল। গৃহবধূর গল্প শুনে অনেকে মনে করেছিলেন ‘শ্রীময়ী’র নকল করে বানানো হয়েছে এই সিরিয়ালও। কার্যক্ষেত্রে অবশ্য তেমনটা না হলেও ট্রোল হওয়া থেকে রেহাই পায়নি সর্বজয়া। তার নিজের ভাসুর, দেওরের ষড়যন্ত্রে পঙ্গু হয়ে গিয়েছে সর্বজয়ার স্বামী সঞ্জয়।
যে সর্বজয়া ঘরের বাইরের কোনো কাজ জানত না সে বস্তিবাসী জিশানের সাহায্যে কম্পিউটার শিখে স্বামীর ব্যবসার হাল ধরেছে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সংগ্রহ করে বাড়ি বন্ধক দিয়ে ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। সাধারন গৃহবধূ সর্বজয়ার এত বাড়বাড়ন্ত সহ্য হবে কেন পরিবারের লোকজনদের?
তাই তারা ফের ষড়যন্ত্র করে বন্ধক দেওয়া বাড়ি ছাড়িয়ে আনে এবং ঘোষনা করে যে বছরের শেষ দিনেই সর্বজয়া ও তার মেয়ে সারাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হবে। পরিস্থিতি সামলাতে হঠাৎ করেই জিশানের সঙ্গে মেয়ে সারার বিয়ে ঠিক করে ফেলেন সর্বজয়া। দুজনের প্রেম পর্ব সবে সবে শুরু হয়েছিল, এর মধ্যেই এত হুটোপাটি করে সারা জিশানের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় হতভম্ব দর্শকরাও।
সিরিয়ালে দেখানো হয়েছে সাধারন বাড়ির পোশাকেই মাথায় একটা ওড়না জড়িয়ে জিশানের সঙ্গে সাতপাক ঘুরছে সারা। সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত সর্বজয়া, পঙ্গু স্বামী সঞ্জয় ও দর্শনা। সর্বজয়াকে বলতে শোনা যায়, এই বিয়েতে আলো সানাই নেই ঠিকই। তবে বিশ্বাস আছে।
কাণ্ড দেখে হতবাক নেটনাগরিকরা। এমন হঠাৎ করে বিয়ে শুধুমাত্র সিরিয়ালেই সম্ভব বলে কটাক্ষ করেছেন তাঁরা। আবার কয়েকজন রসিকতা করে লিখেছেন, করোনার যা বাড়বাড়ন্ত চারিদিকে। তাতে এমন ভাবে ঘরের মধ্যেই দু চারজনের উপস্থিতিতে বিয়েই হয়। সর্বজয়াকে বেশ সচেতন বলতে হবে!