বাংলাহান্ট ডেস্ক: মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করায় ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী গওহর খান (gauahar khan)। ইউনিফর্ম সিভিল কোডের দাবির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি। তিনি নিজে মুসলিম ধর্মাবলম্বী এবং তাঁর থেকে সাধারন মানবাধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না, স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন গওহর।
বিতর্কের সূত্রপাত একটি টুইট থেকে। আশা জাদেজা মোতওয়ানি নামে জনৈক নেটনাগরিক ওই টুইটে দাবি করেন, বাইরের দুনিয়া এটা জানে না যে ভারতে হিন্দু ও মুসলিমদের জন্য আলাদা আলাদা পরিবার বিষয়ক আইন রয়েছে। মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষরা বহুবিবাহ করতে পারে, সন্তানদের শরিয়তি আইনের নামে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিতও করতে পারেন তারা।
অন্যদিকে হিন্দু ধর্মাবলবম্বীদের সেক্যুলার আইন মানতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাই ওই ব্যক্তির দাবি, UCC আইন অর্থাৎ অভিন্ন দেওয়ানি বিধি জারি করা হোক দুই ধর্মের মানুষদের জন্যই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও টুইটে ট্যাগ করেন তিনি। বিষয়টা নজরে পড়তেই ফুঁসে ওঠেন গওহর খান।
পালটা টুইটে ব্যক্তিকে তীব্র আক্রমণ করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমি একজন মুসলিম আর কেউ আমাকে নিজের অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। প্রজাতান্ত্রিক দেশ এটা, একনায়কতন্ত্র চলে না এখানে যেটা তুমি চাইছো। এ জন্য তুমি আমেরিকাতে সুবিধাজনক জীবন যাপন করো, আমার দেশে ঘৃণা ছড়ানো বন্ধ করো।’
Hey loser ! I’m a Muslim , and no body can ban us from having our rights , india is secular, it’s a democracy, not a dictatorship like u would desire ! So stay put in the comfort of your American status , n stop inciting hate in my country ! https://t.co/wvTTA8ZLMe
— Gauahar Khan (@GAUAHAR_KHAN) January 9, 2022
উল্লেখ্য, এর আগে অভিনেতা কুশাল ট্যান্ডনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন গওহর। কিন্তু সে সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। অভিনেতা পরবর্তীকালে জানিয়েছিলেন, ধর্ম নিয়ে গওহরের সঙ্গে তাঁর প্রায়ই বিবাদ হত। কুশাল দাবি করেন, গওহর নাকি চাইতেন তিনি ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হয়ে যান। তিনি সেটা না করাতেই নাকি সম্পর্ক ভেঙেছিল তাঁদের। গত বছরের শুরুর দিকে ইসমাইল দরবারের ছেলে জইদ দরবারকে বিয়ে করেন গওহর।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা