“আর বিজেপির টিকিটে ভোটে দাঁড়াব না”, ত্রিপুরায় জল্পনা উস্কে দিয়ে ঘোষণা সুদীপের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে তাঁর দলবদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এবার সেই জল্পনাকেই ফের উস্কে দিয়ে একধাপ এগিয়ে ত্রিপুরার বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন প্রকাশ্যেই জানিয়ে দিলেন যে, ২০২৩ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে তিনি আর প্রতদ্বন্দ্বিতা করবেন না।

এদিকে, তাঁর এই ঘোষণার পরই দলবদল নিয়ে ফের জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে, সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পুরনো দল কংগ্রেসেই ফিরতে পারেন সুদীপ রায় বর্মন। যদিও, তাঁর পাশাপাশি আরেক বিক্ষুব্ধ বিধায়ক আশিস রায়ও সঙ্গী হতে পারেন দলবদলের।

এদিকে, সুদীপ রায় বর্মনের বিজেপির সাথে ঘটা এই “দুরত্ব”কে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল। এমনিতেই ত্রিপুরার পুরভোটে চমকে দিয়েছে বঙ্গের শাসক দল। বহু পুরসভা ও পুরনিগমে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে সবুজ শিবির। স্বাভাবিকভাবেই, তাঁরা নিজেদের বিজেপির বিকল্প হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে সে রাজ্যে।

যেই কারণে সুদীপ রায় বর্মন-সহ একাধিক বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেছেন তৃণমূল নেতৃত্বরা। তবে, সুদীপবাবু সহ তাঁর অনুগামীরা তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে নিশ্চিতভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সঙ্গে সুদীপবাবুর দূরত্বের কথা এখন সকলেই জানে। এমনিতেই লোকসভা ভোটের পর তাঁর মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, বর্তমানে গেরুয়া শিবিরে কার্যত একঘরে হয়ে রয়েছেন তিনি।

এমনকি, তাঁর অনুগামীদের আয়োজিত এক রক্তদানের অনুষ্ঠান ভেস্তে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবেই, এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। তারপরেই সুদীপ রায় বর্মন জানিয়ে দেন যে, আসন্ন তেইশের ভোটে তিনি আর বিজেপির টিকিটে লড়বেন না।

এদিকে, সুদীপের পাশাপাশি বিজেপি ছাড়তে পারেন আরও এক বিধায়ক আশিস রায়। ইতিমধ্যেই বিধায়ক আশিস দাস বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই একইসাথে তিন বিধায়কের দলত্যাগে চাপে রয়েছে ত্রিপুরার শাসক দল।

Sudip Roy News
পাশাপাশি, রাজনৈতিক মহল মনে করছে যে এই দলত্যাগ সংগঠিত হলে, আখেরে বিপদে পড়বে বিজেপিই। কারণ, ইতিমধ্যেই কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে প্রদ্যোৎকিশোর দেববর্মন নতুন দল তিপ্রামথা গড়েছেন।এডিসি ভোটে কার্যত চমক দিয়েছে প্রদ্যোৎকিশোর দেববর্মনের এই দল।

জনজাতির মধ্যে এই দলের প্রভাবও বিরাট। স্বাভাবিকভাবেই ত্রিপুরায় ২০২৩-এর বিধানসভা ভোটে জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায় তাঁর এই প্রভাব থাকলে এবং আগরতলা এলাকায় সুদীপ রায় বর্মন কংগ্রেসের হয়ে ভোটব্যাঙ্ক অটুট রাখতে পারলে, বিজেপি যে চাপে পড়বে তা বলাইবাহুল্য।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর