বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফিল্মি পরিবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (prosenjit chatterjee)। নিজে তিনি টলিউডের অন্যতম শক্ত খুঁটি। ইন্ডাস্ট্রির মাথা বলা চলে তাঁকে। সহধর্মিণীও পেয়েছেন অভিনয় জগতের। সুন্দরী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায় (arpita chatterjee) এক সময়ে টলিউডের নামী অভিনেত্রী ছিলেন। কাজ করেছেন প্রখ্যাত পরিচালকদের সঙ্গেও। কিন্তু প্রসেনজিতের সঙ্গে বিয়ের পরেই আচমকা অভিনয় থেকে দূরে সরে আসেন তিনি।
একটা লম্বা সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে ছিলেন অর্পিতা। ঘর সংসার নিয়েই মেতেছিলেন। বিষয়টা নিয়ে অনেক বার প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে প্রসেনজিতের দিকেও আঙুল তুলেছেন। কিন্তু কখনোই বিষয়টা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি অর্পিতা। অবশেষে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এ এসে বিষয়টা নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে অর্পিতা জানান, অভিনয় থেকে নিজের ইচ্ছায় সরে এসেছিলেন তিনি। কাজ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ তাঁর নিজের ছিল। কিন্তু তাঁর কাছে অনেকগুলি ছবির কাজ আগে থেকেই ছিল। অথচ তিনি আর কাজ করতে রাজি ছিলেন না। অর্পিতা জানান, সে সময়ে একজন রক্ষাকর্ত্রী রূপে হাজির হয়েছিলেন, তিনি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সে সময়ে টলিউডে ভালোই নাম করেছেন রচনা। কিন্তু বাংলা ছবি তিনি যতটা না করতেন তার থেকে অন্য ভাষার ছবিতে বেশি কাজ করতেন। ওই পরিস্থিতিতে রচনার কথাই মাথায় এসেছিল অর্পিতার। তাঁকে ব্যক্তিগত ভাবে ফোন করে তিনি অনুরোধ করেছিলেন ওই ছবির কাজগুলি করতে। অনুরোধ ফেলেননি রচনা। এতদিন পর দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে অর্পিতা জানান, একথা তিনি কখনো ভুলতে পারবেন না।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে সানন্দা তিলোত্তমা জেতার পরেই টলিউডে কেরিয়ার শুরু হয় অর্পিতার। পারমিতার একদিন, ল্যাবরেটরি, উৎসবের মতো ছবির পাশাপাশি মূল ধারার ছবিতেও চুটিয়ে অভিনয় করেছেন তিনি। শেষবার গুলদস্তা ও হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আগামীতে ‘বছর কুড়ি পরে’ ছবিতে অভিনয় করতে চলেছেন অর্পিতা। তিনি ছাড়াও ছবিতে রয়েছে আবির চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী ও রুদ্রনীল ঘোষ।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা