বাংলাহান্ট ডেস্ক: করোনার জেরে পিছিয়ে গেল পুরসভার নির্বাচন। হাইকোর্টের রায়কে মান্যতা দিয়েই এহেন সিদ্ধান্ত রাজ্য নির্বাচন কমিশনের।
রাজ্যের ৪টি পুরসভা বিধাননগর,শিলিগুড়ি,চন্দননগর ও আসানসোলে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২২ জানুয়ারি । কিন্তু এরই মধ্যে খারাপ হতে শুরু করে করোনা পরিস্থিতি।ফলে পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে জারি করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ। কয়েক মাস আগে স্কুল কলেজ খোলা হলেও এই আংশিক লকডাউনে আবারও বন্ধ করে দেওয়া হয় তা। আর এর পর থেকেই পুরভোটের প্রসঙ্গ টেনে শাসকদলকে ক্রমাগত আক্রমণ হানতে থাকে বিরোধী শিবির। এবার পিছিয়ে গেল সেই পুরসভা নির্বাচনই।
এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। যদিও কবে হতে চলেছে বকেয়া পুরভোট সে ব্যাপারে এখনও তেমন কিছুই জানা যায়নি। তবে সূত্রের দাবি, ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যেই ভোট হবে ৪ পুরসভায়। ভোট গণনা হতে পারে ১৪ ফেব্রুয়ারি।
রাজ্যে বাড়তে থাকা মহামারি পরিস্থিতির মধ্যে ভোট করা কতটা যুক্তিযুক্ত এবং তা আদৌ পিছোনো সম্ভব কি না তা জানতে চেয়ে রাজ্যের কাছ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। এরপরই ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় নবান্নের তরফের। যার পরই বকেয়া পুরভোট পিছানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
করোনা পরিস্থিতিতে ভোটের বিরোধীতা করে হাইকোর্টে জমা হয়েছিল বহু জনস্বার্থ মামলাও।শুক্রবার সেই সমস্ত মামলার শুনানি করে এই ব্যাপারে কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে বলে হাইকোর্ট। এই মামলায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছেন এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের এবং পুরসভা গুলির সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।
এই অবস্থায় হাইকোর্টের রায়ে পুরভোট চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছিয়ে যাওয়াকে অবশ্য নৈতিক জয় হিসেবেই দেখতে বিরোধী শিবির।