বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন বিরাট কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজে পরাজয়ের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কথা ঘোষণা করেছেন তারকা ক্রিকেটার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় বলেছেন যে তিনি তার কাজ সততার সাথে করেছেন এবং এখন অধিনায়কত্ব ছাড়ার সময় এসেছে। কোহলিকে ২০১৪ সালে ভারতীয় টেস্ট দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল, যখন মহেন্দ্র সিং ধোনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের মাঝপথে অধিনায়কত্ব ছেড়েছিলেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বাজে পারফরম্যান্সের পর একদিনের অধিনায়কত্ব ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল কোহলির কাছ থেকে। তার আগে বিরাট নিজেই জানিয়ে দিয়েছিলেন টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপই হতে যাচ্চে তার টি টোয়েন্টি অধিনায়কত্বের শেষ পর্যায়। ওয়ান ডে অধিনায়ক হিসেবে বিরাটকে ছেঁটে ফেলার পর তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল বিসিসিআই। এখন বিরাট কোহলির টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর, বিসিসিআই এবং সৌরভ গাঙ্গুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সিরিজ হারার একদিন পর বিরাট কোহলি টুইট করেছেন, “প্রত্যেকের জীবন একটা সময় আসে যখন থামতে হয় এবং এটি ভারতীয় টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে আমার জন্য একই মঞ্চ। এই যাত্রায় অনেক উত্থান-পতন হয়েছে, কিন্তু চেষ্টা বা বিশ্বাসের অভাব কখনো হয়নি।” অধিনায়কত্ব ছাড়ার দীর্ঘ পোস্টে বিরাট কোহলি বিশেষভাবে শুধুমাত্র রবি শাস্ত্রী এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির নাম উল্লেখ করেছেন। বিরাটের এই পোস্টে কোথাও ছিল না সৌরভ গাঙ্গুলি, অনিল কুম্বলে বা রাহুল দ্রাবিড়ের নাম।
বিরাট কোহলি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার আগে সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া বিবৃতি থেকে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক এবং বিসিসিআইয়ের মধ্যে ফাটল স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছিল। এখন বিরাটের এভাবে টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর, ভক্তদের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচণ্ডভাবে বিসিসিআই এবং সৌরভ গাঙ্গুলিকে আক্রমণ করা হচ্ছে।