বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রথম সিরিয়াল করেই সাফল্য পাওয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু সেটাই সম্ভব করে দেখিয়েছিলেন তিয়াশা রায় (tiyasha roy)। দর্শক মহলে অবশ্য তিনি ‘শ্যামা’ নামেই পরিচিত। সদ্য চার বছরের সফর শেষ করেছে ‘কৃষ্ণকলি’। টেলিভিশনের পর্দা থেকে বিদায় নিয়েছে নিখিল শ্যামা। আপাতত কাজের চাপ নেই। তাই লম্বা ছুটি মিলতেই ব্যাগপত্তর গুছিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে পড়েছেন তিয়াশা।
উতর সিকিমের জিরো পয়েন্ট ঘুরতে গিয়েছেন তিনি। সেখানে এখন তাপমাত্রা শূন্যর নীচে। বরফের চাদরে ঢেকেছে উপত্যকা। তার উপরে সূর্যের আলো পড়ে চিকচিক। নীল ডেনিম, ক্রিম রঙা সোয়েটার, কালো ওভারকোট আর বরফের জন্য পায়ে বুটজুতো পরে সেজেছেন তিয়াশা। বরফে ঢাকা প্রান্তরে দাঁড়িয়ে ‘হ্যায় আপনা দিল তো আওয়ারা’ গানে রিল ভিডিও বানিয়েছেন তিনি।
এক মাস তিনি বিরতিতে থাকবেন তিয়াশা। শ্যামা চরিত্রটির থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করবেন। ইতিমধ্যেই নতুন কাজের প্রস্তাবও পেয়ে গিয়েছেন তিনি। তাই শুটিং ফ্লোরে ফিরতে খুব বেশি দেরি হবে না তাঁর।
https://www.instagram.com/tiyasharoyofficial/reel/CYyYlQ0A7bp/?utm_medium=copy_link
গত ৯ জানুয়ারি শেষ হয়েছে কৃষ্ণকলি। শেষ দিনের শুটিংয়ে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন সকলেই। সিরিয়ালের অনেকে এখন নতুন সিরিয়াল ‘উমা’র শুটিংয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কিন্তু কৃষ্ণকলির শেষদিনে হাজির হয়েছিলেন সকলে। অনেকদিন পর শ্যামার কাছে ফিরেছিলেন নিখিল। কিন্তু সকলের মাঝেও মন হু হু করে উঠেছিল তিয়াশার।
এই চার বছর ধরে স্টুডিওটাই তাঁর ঘরবাড়ি হয়ে উঠেছিল। তিয়াশা জানান, মেকআপ রুমেই একটি বালিশ রেখে দিয়েছিলেন তিনি শটের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য। সাড়ে তিন বছর পর সেই বালিশটি বাড়ি নিয়ে আসতে গিয়ে চোখে জল এসে গিয়েছিল পর্দার শ্যামার।
তিয়াশা জানিয়েছেন, এতদিনে পর্দায় শ্যামার সঙ্গে সঙ্গে বদলে ঘটেছে তাঁর নিজেরও। বয়স বেড়ে হয়েছে উনিশ থেকে তেইশ। তিনিওঅনেক পরিণত হয়েছেন। অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছেন। একটানা কাজ করে হঠাৎ পাওয়া দীর্ঘ বিরতিতে অদ্ভূতও লাগছে তাঁর। এখন আর সকাল সকাল কল টাইম থাকবে না। অ্যালার্ম দিয়ে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে নাকি অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল তিয়াশার। সেই অভ্যাস বদলাতে হবে।