বাংলাহান্ট ডেস্ক: আবারো বাংলাদেশি ছবিতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (parambrata chatterjee)। তবে এবার এক্কেবারে ভিন্ন লুকে। বড় চুল, চোখে সানগ্লাস, আদব কায়দায় তিনি রকস্টার। হ্যাঁ, এই চরিত্রেই তাঁর দেখা মিলবে ওপার বাংলার ছবি ‘আজব কারখানা’য়। গান বাজনা নিয়ে ছবি টলিউডেও করেছেন পরমব্রত, উদাহরণ ‘ট্যাংরা ব্লুজ’। কিন্তু এই ছবি একেবারেই আলাদা হতে চলেছে বলে দাবি পরমব্রতর।
আনন্দবাজার আনলাইনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান, ছবিতে তাঁর চরিত্রটি একজন রকস্টারের। একটি টেলিভিশন শোয়ের সঞ্চালনার দৌলতে লোক গানের পাশাপাশি রক গান ছাড়াও সঙ্গীতের অন্যান্য ধারার সঙ্গে পরিচিত হবেন। ছবি পরিচালনায় রয়েছেন শবনম ফিরদৌসি। ওপার বাংলার এবং বিদেশের কয়েকজন রকস্টারকে দেখে তাঁদের ধরন ধারন আয়ত্তে আনার চেষ্টা করেছেন বলে জানান পরমব্রত।
বলিউড, টলিউড, বাংলাদেশ সর্বত্রই কাজ করছেন পরমব্রত। পাশাপাশি দেশ এবং রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। শুধুই সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যে সীমাবদ্ধ না থেকে পুরসভা ভোটের আগে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে রীতিমতো মাঠে নেমে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
কিন্তু বরাবর পরমব্রত দাবি করে এসেছেন, তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে ছিলেন না আর থাকবেনও না। তবে সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট বলেন, “আমি অতি দক্ষিণপন্থী রাজনীতির সমালোচক। সে জায়গা থেকে, বর্তমানে দেশে যে দলকে আমার বিজেপি, আরএসএস-এর বিরুদ্ধে সব থেকে বড় বিরোধী শক্তি বলে মনে হবে আমি তাদের দিকে একটু ঝুঁকেই থাকব। সেটা যে কোন দল হতে পারে”।
এদিন বন্ধু রুদ্রনীল ঘোষকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি পরমব্রত। দুজনের মধ্যে সাদৃশ্যের প্রসঙ্গ ওঠায় অভিনেতা বলেন, তিনি নির্বাচনের আগে যা ছিলেন এখনো তাই আছেন। অন্য কারোর মতো সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি করে বেড়ান না। তিনি নিজেকে বাম মনস্ক বলতেন। আর এখনো তাই বলবেন। তবে তাঁর মানে এটা নয় যে তিনি সক্রিয় ভাবে সিপিএম পার্টি করেন।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট