বাংলাহান্ট ডেস্ক : উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের কুরুক্ষেত্রে এবার ছেলে মেয়েদের অভিষেক করাতে কার্যতই আদা জল খেয়ে মাঠে নেমেছেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। সাংসদ, বিধায়ক, রাজ্যপাল থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেউই বাদ জাননি টিকিট চাওয়া নেতাদের এই তালিকা থেকে। তবে কোনো নেতা-নেত্রীর ছেলে মেয়ে বা আত্মীয়দের টিকিট দেওয়া হবে না নির্বাচনে, একথা সাফ জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
চলতি বছরেই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারণেই সাজো সাজো রব যোগী রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু এই নির্বাচনে নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে উঠে পড়ে লেগেছেন একদল বিজেপি নেতা-নেত্রী। তবে এই ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান সাফ জানিয়েছে বিজেপি। কোনো নেতা- মন্ত্রীর ছেলে মেয়ে বা আত্মীয়কেই টিকিট দেওয়া হবে না এমনটাই খবর দলের তরফে। তবে নেতা নেত্রীদের যে সমস্ত আত্মীয়রা আগেই রাজনীতিতে এসেছেন এবং জয়লাভও করেছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয় এই নিয়ম। সাধারণ ভাবেই টিকিট পাবেন তাঁরা।
সালেমপুর লোকসভা আসনের বিজেপি সাংসদ রবীন্দ্র কুশওয়াহা তাঁর ছোট ভাই জয়নাথ কুশওয়াহাকে ভাটপররানি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করতে দাবি করেছেন টিকিটের। এর আগেও ২০১৭ সালে জয়নাথকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তিনি পরাজিত হয় সমাজবাদী পার্টির আশুতোষ উপাধ্যায়ের কাছে। তাঁকে এবারেও টিকিট দিলে পরাজয়ের সম্ভাবনাই প্রবল দেখে কুশওয়াহার দাবিতে কার্যতই কর্ণপাত করেনি গেরুয়া শিবির। লখনউ ক্যাণ্টমেন্ট থেকে নিজের ছেলের জন্য টিকিট চেয়েছেন প্রয়াগরাজের সাংসদ রীতা বহুগুনা যোশী। ওই আসনে দুবারের বিধায়ক রীতা এখন সেই একই আসনে ছেলের ভবিষ্যৎকেও দৃঢ় করতে চান।
শুধু সাংসদ বা বিধায়করাই নন, নিজের ছেলের ভবিষ্যৎ গড়তে চেয়ে টিকিটের দাবি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ও। তাঁর বড় ছেলে পঙ্কজ সিং নয়ডার বিধায়ক। নিয়ম মত এবারেও টিকিট পেয়েছেন তিনি। কিন্তু এবার রাজনাথ সওয়াল করেছেন ছোটো ছেলে নীরজের জন্য।
স্বজনপোষণ ইস্যুতে চিরকালই বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এসেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, স্বজনপোষণ না করাই দলেই ইউএসপি। কিন্তু যোগী রাজ্যে নির্বাচনের প্রাক্কালে নেতা নেত্রীদের এহেন বায়নায় যে খানিক অস্বস্তিতেই পড়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব, এমনটাই মনে করছেন পর্যবেক্ষকদের একাংশ।
“আরও এক ডিভোর্স….”, যুজবেন্দ্র চাহাল ও ধনশ্রী ভার্মার হতে চলেছে বিচ্ছেদ? জল্পনা উস্কে সামনে এল পোস্ট