বাড়ির আপত্তি স্বত্বেও খুলেছিলেন চায়ের দোকান, এখন মাসে ৮০ হাজার টাকা কামাচ্ছেন নিশা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অনেকেই চিরাচরিত ভাবে চাকরির জন্য অপেক্ষা না করে নিজেরাই যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যবসা শুরুর পথে হাঁটেন। এই ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ছেলেরাই নন, বরং মহিলারাও পাল্লা দিয়ে এগিয়ে আসছেন নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে।

তবে, তাঁরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করলেও তাঁদেরকে পড়তে হয় একাধিক বাধার মুখেও। আবার, অনেকেই আছেন যারা চাকরি করতে করতেই নিজেদের ইচ্ছেপূরণের জন্য ব্যবসায়িক পথকে বেছে নেন। স্বভাবতই তাঁদের এই লড়াইকে “বাঁকা চোখ”-এও দেখেন অনেকেই।

তবে শেষমেশ যখন তাঁরা কঠিন পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেদের লক্ষ্যপূরণে খুব ভালোভাবে সফল হন তখন অবশ্য এই সব সমালোচনার কোনো জায়গাই থাকেনা। বর্তমান প্রতিবেদনে ঠিক সেই রকমই এক লড়াকু নারীর কথা আপনাদের জানাবো যিনি সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে তৈরি করেছেন সফলতার এক অনন্য কাহিনি।

গুজরাটের রাজকোটের বাসিন্দা নিশা হুসেন চা তৈরি করেই সফলতা অর্জন করে সমস্ত মহিলাদের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন। প্রথমে তিনি কম্পিউটার অপারেটরের চাকরি করলেও তা ছেড়ে দিয়ে তিনি শুরু করতে চান নিজের ব্যবসা। সেই উদ্দেশ্যেই নিশা একটি চায়ের স্টল তৈরি করে চা বিক্রি করতে থাকেন। সেখান থেকেই শুরু নিশার স্বপ্নের সফর!

আজ তিনি পুরো রাজকোটে “দ্য চাইওয়ালি” নামে বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। তিনি চা তৈরি করতে খুব পছন্দ করতেন বলেই নিশা তাঁর শখকে ব্যবসায় রূপান্তরিত করেছেন। যখন তিনি এটি শুরু করেছিলেন, তখন নিশা নিশ্চিত ছিলেন যে এতে অবশ্যই সফলতা পাবেন তিনি।

WhatsApp Image 2022 01 21 at 11.48.18 AM

নিশা দ্বাদশ শ্রেণির পড়াশোনা শেষ করেই, রাজকোটের সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু এই কাজে নিশা খুব একটা তৃপ্তি পেতেন না। বেশি পড়াশোনা না করার কারণে, ভালো চাকরি পাবেন না এটা ভেবে তিনি চা তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। যদিও, এই কাজে প্রথমে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মিলছিল না সায়।

এই প্রসঙ্গে নিশা বলেছেন যে, “আমার ছোটবেলার বন্ধুরা যখন বাড়িতে আসত, তখন আমার হাতে চা খেতে তারা খুব পছন্দ করত। সবাই সব সময় বলতো তোমার হাতে চা খুব ভালো। এসব ভেবে চায়ের স্টল শুরু করার সিদ্ধান্ত নিই”। তবে প্রথমদিকে ব্যবসায়িক জ্ঞানের অভাবের জন্য “টি পোস্ট” নামের ক্যাফেতেও কিছুদিন কাজ করেছিলেন নিশা। আর আজ প্রতিদিন তিনি চা তৈরি করে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করেন!

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর