বাংলাহান্ট ডেস্ক : দলবদলু তৃণমূল নেতা তথা বর্ধমান পূর্বের বিধায়ক সুনীল মণ্ডলকে এবার একহাত নিলেন দেবাংশু। প্রথমে ফরোয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূল, তারপর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি এরপর আবারও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল এভাবেই পোষাকের মতন দল বদলেছেন সুনীল মণ্ডল। এবার ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তাঁকেই ঠুকলেন তৃণমূলের যুবনেতা।
দীর্ঘ এই পোস্টে দেবাংশু লেখেন, ‘সাংসদ সুনীল মণ্ডলকে এলাকায় যাওয়া মাত্রই খেদিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন বর্ধমানের লোকজন। ইনিই তিনি যিনি মুখে কম্বল জড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন!!এখন উনি কোন দলে আছেন জানিনা। দল গ্রহণ করবে কিনা তাও জানিনা। তবে একুশের লড়াইতে বেইমানির বিরুদ্ধে এবং আদর্শের সঙ্গে থাকা হাজার হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীর মতই একজন সাধারণ কর্মী হিসেবে মনে করি, বেইমান এবং গাদ্দারদের সঙ্গে প্রতিটি জেলায়, প্রতিটি বিধানসভায়, প্রতিটি পঞ্চায়েতে, প্রতিটি ওয়ার্ডে এবং প্রতিটি বুথে ঠিক এমনটাই হওয়া উচিত। এরা আজ আছে, কিন্তু আগামীতে আবার টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আবার পালাবে। ‘
তিনি আরও যোগ করেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন আজীবন মুখ্যমন্ত্রী থাকেন, তৃণমূল কংগ্রেসের হাজার হাজার কর্মীরা এই চেষ্টায় দিনরাত এক করে ফেলেন। খুনের হুমকির মুখে দাঁড়ান, দিলীপ ঘোষেদের অনাথ করে দেওয়ার থ্রেট শোনেন, সায়ন্তন বসুদের বুকে গুলি চালানোর থ্রেট শোনেন, তার পরেও লড়াই থামান না। ত যে জঞ্জাল হাওয়ায় উড়ে নিজে থেকে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে গেছে, সেটা আবার উল্টো হওয়ায় ঘরে ঢুকতে চাইলে ঘরের সদস্যরা ঝাঁটা হাতে তুলে দাঁড়াবেন না কেন বলুন তো?’
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পরে দলবদলু নেতারা ঘরে ফিরতে চাইলে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে শুয়ে পড়বেন বলেই জানিয়েছিলেন দেবাংশু। এবারও তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘ক্ষমা মায়ের ধর্ম, কিন্তু ক্ষমাশীল মায়ের মাতৃভক্ত সন্তানেরাও যে ক্ষমা করবে এমনটা নয়’। দেবাংশুর এহেন বক্তব্যে শোরগোল রাজ্য জুড়ে। এই মন্তব্যের পর গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে জল্পনায় ঘৃতাহুতি হলেও দলবদলুদের যে মেনে নেবেন না দেবাংশু, আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল তা।