বাংলাহান্ট ডেস্ক : এবার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর স্বপ্ন পূরণ করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই কারণেই দিল্লি যেতে হবে তাঁকে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর (Netaji Subhash Chandra Bose) জন্মদিনে কলকাতা পৌরনিগমের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটিই জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)।
মেয়রের অভিযোগ, ‘নেতাজি দিল্লি যাওয়ার ডাক দিলেও তাঁকে এবং তাঁর আজাদ হিন্দ ফৌজকে আটকেছিলেন বীর দামোদর সাভারকর। আজাদ হিন্দ ফৌজের বিরোধিতা করে ব্রিটিশ সেনাদেরই শক্তিশালী করে তুলেছিলেন তিনি।’ তাঁকে আরও বলতে শোনা যায়, ‘এই বাংলা থেকেই নেতাজির স্বপ্ন সফল করতে দিল্লি যেতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ভেদাভেদ থাকবে না, জাতিবিদ্বেষ থাকবে না, ভাষাবিদ্বেষ থাকবে না। আমাদের একমাত্র পরিচয় হবে আমরা ভারতবাসী। ঠিক এমনই একটি দেশ গড়তে চেয়েছিলেন নেতাজি। এবার সেই ভারত গড়ার লক্ষ্যে বাংলাকে আরও একবার আহ্বান জানাবে দেশ।’
কলকাতা কর্পরেশনের সঙ্গে নেতাজির সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। প্রথমে কলকাতা পুরসভার এক্সিকিউটিভ অফিসার থেকে শেষে কলকাতার মেয়রের চেয়ারে বসেন তিনি। পুরসভায় মেয়র গেটের সামনে তাঁর ব্যবহৃত চেয়ার এবং টেবিল সংরক্ষিত করেই রাখা হয়েছে। নেতাজি জয়ন্তীতে পতাকা উত্তলনের পর বর্তমান মেয়র ঘুরে দেখেন নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত চেয়ার টেবিল। মূর্তিতে ফুল মালা নিবেদনের পর ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘যাঁরা কলকাতা কর্পোরেশনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন তাদের কাছে এটি তীর্থস্থান।
কারণ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু তাঁর জীবনের অনেকটা সময় এই কলকাতা কর্পোরেশনে অতিবাহিত করেছিলেন। আমরা যারা গান্ধীবাদ, সুভাষবাদ জিন্দাবাদ বলে বড় হয়েছি, তারা নেতাজি মানেই দেশপ্রেম বুঝি। ধর্মনিরপেক্ষতা ও ঐক্যের সামঞ্জস্য রেখে সারা জীবন তিনি কাজ করেছেন। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই তিনি ডাক দিয়েছিলেন দিল্লি চলো।’
২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনকেই আপাতত পাখির চোখ করে এগোচ্ছে তৃণমূল। সৈকত রাজ্য গোয়ায় ভোটের আগে অনেকটাই শক্তি বাড়িয়েছে ঘাসফুল শিবির। এবার ফিরহাদ হাকিমের এহেন বক্তব্যে একথা আরও একবার স্পষ্ট হল যে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে দিল্লির গদি উদ্ধারে মোদী মমতার এক অভূতপূর্ব লড়াইয়ের সাক্ষী হতে চলেছে দেশবাসী