বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে পড়াশোনার খরচ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে এই খরচের হার সবথেকে বেশি। এমতাবস্থায়, অনেক পড়ুয়াই পড়াশোনাকালীন নিজেদের খরচ বিভিন্ন কাজ করে উপার্জনের মাধ্যমে নিজেরাই চালিয়ে নেন।
কিন্তু, পড়ার খরচ সামলাতে গিয়ে এবার যেই ঘটনার কথা সামনে এসেছে তা শুনে রীতিমতো আকাশ থেকে পড়েছেন সকলে। পড়াশোনার বিপুল খরচের ধার মেটাতে এবার নিজের ডিম্বাণু বিক্রি করে ধার শোধ করলেন এক তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকার নিউ ইয়র্কে। জানা গিয়েছে যে, ক্যাসান্ড্রা জোনস নামের ওই তরুণীকে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ চালাতে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার ধার করতে হয়েছিল। এদিকে, পড়া শেষে চাকরিও পাননি তিনি।
এমতাবস্থায়, প্রবল অর্থ সঙ্কটে পড়ে ২৮ বছর বয়সী এই তরুণী জানিয়েছেন, ধার শোধ করতে ইতিমধ্যেই ৫ বার নিজের ডিম্বাণু বিক্রি করেছেন তিনি। তাতে তাঁর মোট আয়ও হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে, এখনও বাকি ১ লাখ ১০ হাজার ডলার।
সবচেয়ে বড় কথা হল, এই অবস্থায় যে শুধুমাত্র ক্যাসান্ড্রাই পড়েছেন তা কিন্তু নয়। বরং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ চালাতে গিয়ে ধার নিয়ে তা ফেরত দিতে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। শুধু তাই নয়, সেই ধার শোধ করতে গিয়ে অনেকেরই নাভিশ্বাস ওঠে।
পাশাপাশি, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার জন্য এমন সমস্যায় পড়েন ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকরা, সেই তালিকায় এক্কেবারে ওপরের দিকেই আছে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার খরচ যেমন বেশি, তেমনই পড়া চলাকালীন অর্থ সঙ্কটে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ সাহায্যও পাওয়া যায় না।
এদিকে, এভাবে ডিম্বাণু বিক্রি করে ধার শোধ করার ফলও যে ভয়াবহ হতে পারে তেমন আশঙ্কার কথা চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ক্যাসান্ড্রাকে। তবুও পিছিয়ে আসেননি তিনি। চিকিৎসকরা বলেছেন, ডিম্বাণু দেওয়া মোটেই সহজ কাজ নয়। এর আগে হাজারো পরীক্ষা করানো হয়। দাতার বয়স, নেশার অভ্যাস, স্বাস্থ্য সব দিক বিবেচনা করে তবেই ডিম্বাণু নেওয়া হয় তাঁর কাছ থেকে।
এছাড়াও, এর ফলে কোলন ক্যানসার, শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্টের মত ঘটনাও ঘটতে পারে। এক কথায়, এটি যে যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ কাজ তা একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন চিকিৎসকমহল।