মেয়ের বিয়েতে যৌতুকে ১.১৫ কোটি টাকা দিলেন বরখাস্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর, আমন্ত্রিত ৮০০ অতিথি

বাংলা হান্ট ডেস্ক: পণ নেওয়া এবং দেওয়া দু’টিই দন্ডনীয় অপরাধ। পণের কারণে মাঝে মাঝেই বধূহত্যার মত ঘটনা সামনে আসে। সমগ্র দেশজুড়েই এই ঘৃণ্য প্রথা বন্ধ করার চেষ্টা করা হলেও পুরোপুরি এখনও তা বন্ধ হয়নি। বরং পণ দেওয়ার একের পর এক অদ্ভুত সব খবর সামনে আসে এখন।

সম্প্রতি রাজস্থানের ভরতপুর জেলার উচাইনে অনুষ্ঠিত একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে একজন বরখাস্ত পুলিশ অফিসার নগদ ১ কোটি ১৫ লক্ষ ১০১ টাকার যৌতুক দেন তাঁর মেয়ের বিয়েতে! শুধু তাই নয়, অর্জুন সিং নামের ওই ইন্সপেক্টর তাঁর মেয়ে দিব্যার বিয়েতে বরের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে এক লক্ষ টাকা খরচ করেছিলেন। এছাড়াও প্রতিটি বরযাত্রীকে ৫১১ টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।

বিয়ের ওই মহা অনুষ্ঠানে কংগ্রেস বিধায়ক যোগেন্দ্র সিং আওয়ানা সহ তাঁর ছেলে হিমাংশু আওয়ানা, প্রাক্তন বিধায়ক ঘনশ্যাম মেহের সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে যেখানে এক ব্যক্তিকে যৌতুকের মোট টাকা ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছে।

পাশাপাশি, ভিডিওতে ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিল গুলিও দেখা যায়। গত ২৩ জানুয়ারি করৌলির বাসিন্দা দীপকের সঙ্গে বিয়ে হয়ে ওই ইন্সপেক্টরের মেয়ের। দীপক রাজ্য আবগারি দফতরে পরিদর্শক পদে নিযুক্ত।

এদিকে, বিয়ের ওই অনুষ্ঠানে করোনার সমস্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ করা হয়। রাজস্থান সরকার করোনা সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করলেও অনুষ্ঠানে কোনো নির্দেশিকা মানা হয়নি। বরং মহামারীর মাঝেই মোট ৮০০ জনকে বিয়েতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি, ওই অনুষ্ঠানে মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্বের প্রসঙ্গও মেনে চলা হয়নি।

WhatsApp Image 2022 01 27 at 7.05.53 PM

এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক অলোক রঞ্জন বলেছেন যে, ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে মহকুমা আধিকারিকদের কাছে একটি প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। করোনার নির্দেশ অমান্য করে বিয়ের অনুষ্ঠান করলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যদিকে, পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র বিষ্ণোই জানিয়েছেন যে, তদন্ত চলছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ইন্সপেক্টর অর্জুন সিংকে ২০২০ সালেই বরখাস্ত করা হয়েছিল। ২ লক্ষ টাকা ঘুষ দিতে না চাওয়ায় এক ব্যক্তিকে পুলিশ স্টেশনে মারধর করেন তিনি। এই অভিযোগে ২০১৯ সালে তাঁকে সাসপেন্ড করা হয় এবং গরহাজির থাকার কারণে ২০২০ সালে তাঁকে বরখাস্তও করা হয়। তিনি প্রায় ৩০ বছর ধরে উচাইন শহরে বসবাস করছেন। তাঁর দু’টি বিলাসবহুল বাড়িও রয়েছে।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর