বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট পরবর্তী হিংসায় প্রাণ হারাতে হয়েছিল পশুপ্রেমী তথা বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে। বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছিল। ৩ মে ভোট গণনার পরের দিনই উদ্ধার হয় গলায় তার প্যাঁচানো অভিজিৎ-র দেহ। এই ঘটনার জন্য সরাসরি তৃণমূলকেই দায়ী করেছিল বিজেপি। এমনকি খোদ অভিজিৎ মৃত্যুর আগে একটি ভিডিওর মাধ্যমে তৃণমূলের উপর তাঁর বাড়িতে হামলার অভিযোগ করেছিল।
মৃত্যুর পর ময়না তদন্তের জন্য তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মর্গে। আদালতে মামলা চলার কারণে ১৩৬ দিন মর্গেই ছিল অভিজিৎ-র মৃতদেহ। এরপর সৎকারের অনুমতি দেওয়া হয় পরিবারকে। যদিও, সৎকার নিয়েও তৃণমূল বিজেপির ধুন্ধুমার হয়। বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, তৃণমূল পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে অভিজিৎ-র মরদেহ সৎকার করা থেকে আটকাচ্ছে।
অভিজিৎ-র খুনিদের খুঁজতে দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। ১০ মাস পার হয়ে গেলেও খুনিদের খোঁজ মেলেনি। আর এবার খুনিদের খোঁজ পেতে নগদ পুরস্কারের ঘোষণা করল সিবিআই। আদালতের থেকে নির্দেশ নেওয়ার পরই সিবিআই-র তরফ থেকে অভিযুক্তদের নাম ও ছবি জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁদের খুঁজে দিলে ৫০ হাজার টাকা নগদ পুরস্কারও দেবে বলে ঘোষণা করেছে সিবিআই।
West Bengal | CBI has announced a reward of Rs 50,000 each on the absconding accused in the murder case of BJP worker Abhijit Sarkar: CBI DIG Akhilesh Singh
— ANI (@ANI) January 28, 2022
যারা অভিযুক্তদের খোঁজ দেবে, তাঁদের পরিচয়ও গোপন রাখা হবে বলেছে সিবিআই। এখন দেখার বিষয় এটাই যে, সিবিআই-র এই উদ্যোগ কতটা কার্যকর হয়। অন্যদিকে মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার জানিয়েছেন যে, দোষীরা শাস্তি না পাওয়া পর্যন্ত তিনি এই লড়াই চালিয়ে যাবেন। ওনাকে এই মামলা থেকে দূরে থাকার জন্য খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। বিশ্বজিৎ-র নিরাপত্তার জন্য তাঁর বাড়িতে সিসিটিভি ও নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।