বাংলার হান্ট নিউজ ডেস্ক: কিয়া সে কিয়া-‘ন’ হো গেয়া দেখতে দেখতে। ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মাথায় হয়তো গানের এই লাইনটাই ঘুরঘুর করবে। ম্যাচে ৯০ মিনিট ইস্টবেঙ্গলের লড়াই দেখে কেউ বলতে পারবে না যে তারা অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে। বরং বুক চিতিয়ে লিগ টেবিলের শীর্ষে যাওয়ার লড়াইয়ে থাকা এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে পাল্লা দিয়ে লড়াই করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তাও ম্যাচের শেষে স্কোরবোর্ডে লেখা থাকবে ইস্টবেঙ্গল – ১ এটিকে মোহনবাগান – ৩, ইস্টবেঙ্গল – ১, কিয়ান নাসিরি – ৩।
সত্যিই! অভিষেক কি কারোর এত চেয়ে ভালো হতে পারে? নিজের প্রথম ম্যাচে হ্যাটট্রিক, তাও আবার সাবস্টিটিউট হিসাবে মাঠে নেমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের বিরুদ্ধে। কিন্তু এমন রূপকথাই লিখে দেখালেন ৭০-৮০র ময়দান কাঁপানো জামশেদ নাসিরির ছেলে কিয়ান নাসিরি। নেমে সমতায় ফেরালেন দলকে, তারপর ৯০ মিনিট শেষে দু খানা গোল, সেইসঙ্গেই খান খান হয়ে গেল হীরা মন্ডল, পেরিসেভিচ-দের লড়াই।
আজ প্রথমার্ধ থেকেই আক্রমণ শানিয়েছিল দুই পক্ষই। ডেভিড উইলিয়ামস, লিস্টন কোলাসো-দের সাথে পাল্লা দিয়ে আক্রমণ করেন মার্সেলো, পেরিসেভিচ-রা। প্রথমার্ধে গোলকিপারকে একা পেয়েও বাইরে শট মারেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন স্ট্রাইকার মার্সেলো। সেটাই ছিল প্রথমার্ধের সেরা চান্স। প্রথমার্ধ শেষ হয় ০-০ ফলেই।
দ্বিতীয়ার্ধে গা ঝাড়া দিয়ে আক্রমণে ওঠে এটিকে মোহনবাগান। বাঁ উইংয়ে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন লিস্টন কোলাসো। তার শট একবার পোস্টে লেগে ফেরে। কিন্তু গতির বিরুদ্ধে পেরিসেভিচের আদায় করা কর্ণার থেকে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ডাচ মিডফিল্ডার ড্যারেল সিডল। কিন্তু তার ৭ মিনিটের মধ্যে ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সের ভুলে পরিবর্ত হিসাবে নামা কিয়ান নাসিরির গোলে সমতায় ফেরে সবুজ মেরুণ শিবির। এরপর দুইপক্ষই গোল করার সুযোগ পেয়েছিল। দুরন্ত কিছু সেভ করেন অমরিন্দর। একবার গোললাইন ক্লিয়ারেন্স করে ইস্টবেঙ্গলের পতন রোধ করে হীরা মন্ডল। এরপর ম্যাচের শেষদিকে পেরিসেভিচ, মার্সেলো-দের তুলে নিয়ে ডিফেন্সের খোলসে ঢুকে পড়ে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অতিরিক্ত সময়ের ১ এবং ৩ মিনিটে দু দুটি গোল করে ইস্টবেঙ্গলের হার নিশ্চিত করে দেন কিয়ান নাসিরি।