বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পরে যে সহিংসতা হয়েছিল সে বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছে সিবিআই। সিবিআই সুপ্রিম কোর্টকে বলেছে যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোলিং এজেন্ট ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম আসনে পরাজয়ের পরে হিন্দুদের উপর প্রতিশোধ নিয়েছে। বলে দিই, ওই আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূল কংগ্রেসের পোলিং এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই বলেছে যে, এই ব্যক্তি নন্দীগ্রাম বিধানসভা আসনে বিজেপিকে ভোট দেওয়া হিন্দুদের শিক্ষা দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপি সমর্থককে হত্যার অভিযোগও রয়েছে।
সিবিআই জানিয়েছে যে, শেখ সুফিয়ান বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পরে স্থানীয় গ্রামবাসীদের উপর হামলা করেছিল যেখানে দেবব্রত মাইতি নিহত হয়েছিলেন। সিবিআই এর তদন্তে উঠে এসেছে যে, জনগণের কাছে কড়া রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দিতে শেখ সুফিয়ান বিরোধী দলের সমর্থকদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার কাজ করেছিলেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিবিআই তার হলফনামায় বলেছে যে শেখ সুফিয়ানের উপরোক্ত কাজগুলি সমাজের বিরুদ্ধে জঘন্য অপরাধ এবং রাজনৈতিক একটাকে ধ্বংস করে। সিবিআই বলেছে যে, আবেদনকারী সুফিয়ান যারা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন সেসব ভোটারদের বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করেছেন! যা একটি অপরাধ।
সিবিআই বলেছে যে, উল্লিখিত অপরাধটি করার সময় সুফিয়ান একটি দল সংগঠিত করেছিলেন এবং তাদের দাঙ্গা, খুন এবং সমাজের একটি অংশকে গুরুতর শারীরিক আঘাত করতে উৎসাহিত করেছিলেন। এই কাজটি করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধেই, যারা তার ইচ্ছা অনুসারে ভোট দেয়নি।
জানিয়ে রাখি, গত বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের চারিদিক থেকে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর উঠে এসেছিল। তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধেই এই হিংসার অভিযোগ উঠেছিল। এই হিংসায় বিজেপি নেতা, কর্মী এবং সমর্থকদের নিশানা করা হয়েছিল। বহু খুন, ধর্ষণ এমনকি রাজ্য থেকে সন্ত্রাসের ভয়ে পালিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল এরজন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছিল বিজেপি।