বাংলাহান্ট ডেস্ক : দরজায় কড়া নাড়ছে পুরভোট। এর মধ্যেই ধুন্ধুমার বিধাননগর। বিজেপির দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সল্টলেক বি জে ব্লকের বিজেপি বিধাননগর পুর নির্বাচনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কার্যতই তছনছ চালায় দুষ্কৃতিরা। উলটে ফেলা হয় সোফা, টুকরো টুকরো করে ভেঙে ফেলা হয় ল্যাপটপ -হার্ডডিস্ক।
বেধড়ক মারধর করা হয় কার্যালয়ে উপস্থিত কর্মীদের। রেয়াত করা হয়নি মহিলাদেরকেও। বিজেপি কর্মীদের দাবি, মঙ্গলবার বিকেল নাগাদ সল্টলেকের বি জে ১৯৩ নম্বর বাড়িতে বিজেপির কার্যালয়ের একতলায় ঢুকে পড়ে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতি। চলে ভাঙচুর। রিভলভারের বাঁট দিয়ে মেরে উত্তর শহরতলির জেলা যুব মোর্চার সম্পাদক প্রসূন রাহার মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ উঠছে।
বিজেপি নেতা অনুপম ঘোষ জানিয়েছেন, ‘রিভলবার নিয়ে এসেছিল গুন্ডারা। বিধাননগরে আমাদের উপর একের পর এক হামলা চলছে। ২৯,৩১ সহ যে সমস্ত ওয়ার্ডে আমাদের উপরে হামলা চলেছে সেখানে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে। পুরভোটে আমাদের অবস্থা খুবই ভালো ওই ওয়ার্ড গুলিতে। তাই ভয় দেখাতেই এই সমস্ত কাজ করছে তৃণমূল’
পুরো ঘটনাটিতেই অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকেই রেখেছে বিজেপি। ভাঙচুর হওয়া দলীয় কার্যালয়টি পরিদর্শন করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পুরভোটের প্রচারে আপাতত বিধাননগর এলাকায় নিত্য যাতায়াত শুভেন্দুর। বুধবারও তাঁর নেতৃত্বে বিধাননগর থানা ঘেরাও করেছিল বিজেপি।
গত মঙ্গলবারের এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে অবস্থান-বিক্ষোভ দেখাতে চলেছে রাজ্য বিজেপি।শুভেন্দুর তরফে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার না করলে আরও বৃহত্তর হবে এই বিক্ষোভ আন্দোলন। কিন্তু কোনো পদক্ষেপই নেয়নি পুলিশ, ফলে এরপর আবার আজ প্রতিবাদে থানা অবরোধ করে বিক্ষোভের পথে নামতে চলেছে গেরুয়া শিবির। যদিও পুরো ঘটনাটিই অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, ভোটের আগে স্রেফ প্রচারে থাকার জন্যই এই সমস্ত কাজ করছে বিজেপি।