ক্রিকেটের জন্মদাতাকে দুরমুশ করল যশ’রা, পাঁচবার অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জয় ভারতের

বাংলা হান্ট ডেস্ক: অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে “বিশ্বসেরা” হওয়া ভারতের ক্ষেত্রে ক্রমশ অভ্যাসে পরিণত হচ্ছে। এই নিয়ে মোট ৮ বার টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নেয় ভারতীয় যুব দল। পাশাপাশি, তারা চ্যাম্পিয়ন হয় মোট পাঁচবার। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ফের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের খেতাব ঘরে তুলল ভারত।

এদিকে, ইংল্যান্ড এই নিয়ে দ্বিতীয়বার যুব বিশ্বকাপের ফাইনালের টিকিট হাতে পায়। এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রথমবার যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল তারা। সেবারে চ্যাম্পিয়ন হলেও এবারে ভারতের কাছে হেরে রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ব্রিটিশদের।

রুদ্ধশ্বাস এই উত্তেজক ম্যাচে জয়ের জন্য ১৯০ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নামে ভারত। তবে, ৪৭.৪ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায় ভারতীয় ইয়ং ব্রিগেড। ১৪ বল বাকি থাকতে থাকতেই ম্যাচ পকেটে পুরে নেয় তারা। দীনেশ ২ টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।

পাশাপাশি, নিশান্ত সিন্ধু ৫ টি চার ও ১ টি ছক্কার সাহায্যে ৫৪ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থেকে যান। এছাড়া ভারতের হয়ে হরনূর ২১, রশাদ ৫০, যশ ধুল ১৭, রাজ বাওয়া ৩৫ ও কৌশল তাম্বে ১ রান করেছেন।

বল হাতে ৩১ রানে ৫ উইকেটের পাশাপাশি, ব্যাট হাতে ৫৪ বলে ৩৫ রানের কার্যকরী ইনিংসের সৌজন্যে বিশ্বকাপ ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন ভারতের রাজ বাওয়া।

পাশাপাশি, ইংল্যান্ডের হয়ে ২ টি করে উইকেট নেন বয়ডেন, সেলস ও আসপিনওয়াল। এদিকে, ২০০০ সাল থেকেই অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের মঞ্চে জয়ের নতুন নতুন রেকর্ড গড়ছে ভারত। ২০০০ সালে মহম্মদ কাইফের নেতৃত্বে প্রথমবার যুব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় টিম ইন্ডিয়া। এরপর বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার যুব বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারতীয় দল।

WhatsApp Image 2022 02 06 at 8.06.56 AM

এরপর ক্যাপ্টেন উন্মুক্ত চাঁদ ২০১২ সালে ভারতকে তৃতীয় বিশ্বকাপের ট্রফি এনে দেন। এছাড়া ২০১৮ সালে পৃথ্বী শ-র হাত ধরে ভারত যুব বিশ্বকাপের চার নম্বর ট্রফি জেতে। শেষে চলতি বছরে যশ ধুলের নেতৃত্বে ফের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হল ভারতীয় যুব দল।

এদিকে, সদ্য শেষ হওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী হিসেবে ডেওয়াল্ড ব্রেভিস সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ৫০৬ রান করার পাশাপাশি ৭ টি উইকেটও নিয়েছেন।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর