বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার SSC গ্রূপ ডি পদের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ৫৭৩ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বেতন বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, এখনও পর্যন্ত তাঁরা যে বেতন পেয়েছেন তা উদ্ধার করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা স্কুল পর্যবেক্ষককে।
ইতিমধ্যেই স্কুলে গ্রূপ ডি পদের নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ করেছে আদালত। যার জেরেই নেওয়া হয়েছে এমন সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি, এই অনিয়মের অভিযোগ ঘিরে হাইকোর্টে রাজ্য সরকার যে বড় ধাক্কা খেল তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। এদিকে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটিকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মাসেই গ্রূপ ডি নিয়োগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে দিয়ে আদালত জানিয়ে দিয়েছিল যে, এই নিয়োগে ঠিক কোন ধরণের অনিয়ম হয়েছে তা অনুসন্ধানের জন্য CBI-কে ডাকার প্রয়োজন নেই। বরং, এই ব্যাপারে প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নেতৃত্বে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গড়ার বিষয়ে সায় দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ।
সেইমত, আদালত জানিয়ে দেয় যে, ওই তদন্তকারী দলই এই নিয়োগের পূৰ্ণাঙ্গ তদন্ত করবে। সেই অনুযায়ী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগের নজরদারিতে তৈরি হয় এই বিশেষ অনুসন্ধানকারী দল। SSC-র পক্ষে অনুসন্ধানকারী দলে ছিলেন আশুতোষ ঘোষ সহ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সহ-সচিব(প্রশাসন) পারমিতা রায়। এছাড়াও, ওই দলে ছিলেন হাইকোর্টের আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মাসের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল এই বিশেষ দলের।
পাশাপাশি, সিঙ্গল বেঞ্চে নিয়োগ হওয়া কর্মীদের বেতন বন্ধের নির্দেশও খারিজ করে দেওয়া হয় তখন। এই প্রসঙ্গে আদালত জানায়, হঠাৎ এভাবে কারোর বেতন বন্ধ করা যায়না। পাশাপাশি, যতক্ষন না এই কমিটি রিপোর্ট জমা দিচ্ছে ততদিন কর্মীরা বেতনের সাথেই কাজ করবেন।
এদিকে, সিঙ্গেল বেঞ্চের CBI অনুসন্ধানের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার, স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এরপরই এসএসসি গ্রুপ ডি “দুর্নীতি” মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
একইসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও পর্ষদকে নিয়োগ সংক্রান্ত সব নথি জমা দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়। তবে, সিঙ্গেল বেঞ্চ কার্যত পর্ষদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে তুলোধনা করে তখন। যদিও, শেষপর্যন্ত বুধবার ৫৭৩ জনকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিল আদালত।