বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছেন আমির খান (aamir khan)। দরিদ্র তাঁতশিল্পীর পরিবারকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেননি তিনি। বাধ্য হয়ে প্রয়াত তাঁতশিল্পীর পরিবারকে বিড়ি বেঁধে রোজগার করতে হচ্ছে। আমিরের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গে হতাশ তাঁতশিল্পীর পরিবারের সদস্যরা।
সম্প্রতি করিনা কাপুর খান একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেছিলেন। আমির তাঁকে একটি দামি শাড়ি উপহার দিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সেটা ‘থ্রি ইডিয়টস’ ছবির সময়কার ঘটনা। ছবি মুক্তির আগে মধ্য প্রদেশের তাঁতশিল্পী কমলেশ কোরির বাড়িতে গিয়েছিলেন করিনা আমিররা।
গ্রামের মাটির বাড়িতে কমলেশদের আতিথেয়তা গ্রহণ করেছিলেন বলিউডের প্রথম সারির তারকারা। কমলেশের স্ত্রী কমলা বাঈ তাঁদের নিজের হাতে রাঁধা রুটি তরকারিও খাইয়েছিলেন। সেই রান্না খেয়ে শুধু প্রশংসাই করেননি আমির। সঙ্গে দিয়েছিলেন একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও।
থ্রি ইডিয়টসের প্রিমিয়ারে কমলেশ ও তাঁর পরিবারের এক সদস্যকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন খোদ আমির। তাঁদের সমস্ত বহন করবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি কমলেশের জন্য মুম্বইয়ে একটি শোরুম খুলে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট।
তিনি বলেছিলেন, ওই শোরুমে নিজের তাঁতে বোনা কাপড় বেচতে পারবেন কমলেশ। ব্যবহার করা যাবে আমির করিনাদের নামও। দরিদ্র তাঁতশিল্পী কমলেশের কাছে এ ছিল হাতে চাঁদ পাওয়ার সমান। করিনা নিজে জানিয়েছিলেন, তাঁকে ২৫ হাজার টাকার দুটি শাড়ি উপহার দিয়েছিলেন আমির। কমলেশকে ‘বন্ধু’ বলে নিজের হাত থেকে সোনার আংটি খুলে পরিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর হাতে।
কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। আমিরের দেওয়া ফোন নম্বরে ফোন করলেও ধরেননি কেউ। হয়নি কোনো শোরুম। আয়ও বাড়েনি কমলেশের। ২০২১ এ করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। চিকিৎসার খরচ পর্যন্ত তুলতে পারেনি তাঁর পরিবার। সন্তানদের স্কুল ছাড়িয়ে দিয়েছেন কমলেশের বিধবা স্ত্রী কমলা। নিজে এখন বিড়ি বেঁধে সংসার চালান। কিন্তু এত কষ্টেও আমিরের দেওয়া আংটিটি বেচতে পারেননি তিনি। ওটাই সাক্ষী হয়ে রয়েছে অভিনেতার ‘মিথ্যাচারিতা’র।