বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলার রাজনীতিতে আসন বা ক্ষমতা না পেলেও হাল ছাড়তে নারাজ বাম শিবির। ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াইতে বরারবই এগিয়ে এসেছে সিপিএম। তরুণ প্রজন্মকে লক্ষ্য বানিয়ে তাদের মন জয় করতে একের পর এক চমক দিয়েছে তারা। সে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে একদল নতুন তরুণ মুখই হোক বা একের পর এক মিম- প্যারোডি। প্রচারে গতানুগতিক স্লোগানের বদলে তথাকথিত সৃজনশীলতা এবং নান্দনিকতাকেই হাতিয়ার করতে দেখা গেছে বাম শিবিরকে। অষ্টম বামফ্রন্ট না এলেও এসেছে প্রচারের একের পর এক গান। ভাইরাল ছবি বা গানের ইমেজকে হাতিয়ার করে প্রাসঙ্গিক থাকার উদ্দ্যেশ্যেই এহেন উদ্যোগ তাদের। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না।
পুরভোটের প্রচারে এবার বামেদের অস্ত্র ‘পুষ্পা’। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া আল্লু অর্জুন অভিনীত দক্ষিণী ছবি পুষ্পা ঝড় তুলেছে দেশে। দেশের প্রতিটি কোনায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এই ছবির গান। পুষ্পা জ্বরে আক্রান্ত দেশবাসী। এবার এই ‘ভাইরাল ফিভার’ কে কাজে লাগিয়েই মাঠে নেমেছে সিপিএম। অশোকনগরে পুরভোটের প্রচারের জন্য পুষ্পা ছবির ‘আভেন্তা’ গানকে ভিত্তি করেই থিম সং বাঁধল বামেরা। নিজেদের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে গানটি পোস্ট করেছে তারা।
বিরোধীদের কটাক্ষ করে গানের ভাষায় বলা হয়েছে, ‘ অনেক হল লুটতরাজ আর পাড়ায় পাড়ায় মস্তানি, কাজের নামে লবডঙ্কা কিচ্ছু করতে পারেনি, গুচ্ছ গুচ্ছ প্রতিশ্রুতি, উড়ে গেল যেন খই, এইবার বামফ্রন্ট। যা ছিল তা সবই গেছে, নতুন কিছু হল কই?’ একই সঙ্গে বামেদের নির্বাচনী ইস্তেহারও তুলে ধরা হয়েছে গানের লিরিক্সে। গানের সঙ্গে নজর কেড়েছে মজার গ্রাফিক্সও।
ইতিমধ্যেই স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই গানটিও। এর আগে কলেজ স্ট্রীটের সভায় তরুণ সিপিএম নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে পুষ্পার সংলাপ বলতে শোনা গেছিল। এবার সেই ছবির গানকেই প্রচারের হাতিয়ার করল তারা। অনেকেই দাবি করেন নিজেদের পুরোনো পন্থী নীতি, ঔদ্ধত্য এবং অনমনীয়তার জন্যই প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে রাজ্যে অস্তিত্ব সংকটে সিপিএম। সেই কারণেই রেড ভলেন্টিয়ারের মতন প্রকল্পও শিকে ছিঁড়তে সাহায্য করতে পারেনি বিধানসভার ভোটে। তবে এবার যে নিজেদের খানিক গড়াপেটা করে প্রাসঙ্গিকতার দিকে ফিরতে চাইছে লাল শিবির, বা বলাই বাহুল্য।
প্রসঙ্গত, এর আগে বিধানসভা নির্বাচনের সময় টুম্পা গানকে হাতিয়ার করেছিল বামেরা। সেই গানও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল ঝড়ের বেগেই।