বাংলাহান্ট ডেস্ক: নির্বাচনী হাওয়ার মাঝেই কর্ণাটকের ‘হিজাব বিতর্ক’ (hijab controversy) মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। কর্ণাটকের উদুপিতে যে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল তার আঁচ এখন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আগেই কর্ণাটক সরকারকে তোপ দেগেছিলেন। এবার প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (priyanka gandhi) মন্তব্য করেছেন, একজন মহিলা কী পোশাক পরবেন না পরবেন সেটা সম্পূর্ণ তার ব্যাপার।
কংগ্রেস নেত্রী টুইটে লেখেন, ‘বিকিনি, ঘোমটা, জিন্স বা হিজাব, একজন মহিলাই ঠিক করবেন তিনি কী পরবেন। সংবিধান তাদের এই অধিকার দিয়েছে। মহিলাদের উত্যক্ত করা বন্ধ করুন।’ এই টুইটের উত্তরেই পালটা প্রশ্ন তুলেছেন অ্যাডাল্ট ছবির অভিনেত্রী শার্লিন চোপড়া (sherlyn chopra)।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর টুইটটি রিটুইট করে শার্লিন লিখেছেন, ‘ভারতীয় সংবিধান নিয়ে আপনার মত অনুযায়ী, শিক্ষামূলক প্রতিষ্ঠানেও কি মেয়েদের বিকিনি পরার অনুমতি রয়েছে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয় তবে সেটা কী ধরনের? মাইক্রো বিকিনি নাকি স্বচ্ছ বিকিনি?’ সঙ্গে তিনি এও জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর কাছে এমন অনেক বিকিনি রয়েছে। সেসব বিলিয়ে দিতে পারলে তিনি খুশিই হবেন।
হিজাব বিতর্ক নিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন একাধিক তারকা। লেখক আনন্দ রঙ্গনাথনের টুইটের স্ক্রিনশট পোস্ট করেছেন কঙ্গনা, যেখানে দুটি ছবির মধ্যে তুলনা করা হয়েছে। প্রথম ছবিটি ১৯৭৩ সালের। সেখানে ইরানের কয়েকজন মহিলাকে বিকিনি পরে সমুদ্র সৈকতে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। পরের ছবিটি সাম্প্রতিক কালের, যেখানে শুধুই বোরখা পরিহিতদের ভিড়।
টুইটটি শেয়ার করে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘যদি সাহস দেখাতেই হয় তবে আফগানিস্তানে বোরখা না পরে দেখাও। নিজেকে বন্দি না করে শিকল ভাঙতে শেখো।’ সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতামত রাখতে দেখা যায় কঙ্গনাকে। তাই এই বিতর্ক নিয়েও যে তিনি প্রতিক্রিয়া দেবেন তা জানা ছিল সকলেরই।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওর জেরে বিক্ষোভের আগুন চড়চড়িয়ে বেড়েছে। ভিডিওটি কর্ণাটকের এক কলেজের। সেখানে দেখা যাচ্ছে, একদল হিন্দুত্ববাদী যুবক জোর গলায় ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিচ্ছে। পালটা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেন বোরখা পরা এক তরুণী। ভিডিওটি বিভিন্ন মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
ভিডিওটির প্রতিক্রিয়া দিয়ে টুইটে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন জাভেদ আখতার। তিনি লিখেছেন, ‘আমি কোনোদিনই হিজাব বা বোরখাকে সমর্থন করিনি। আমি নিজের বক্তব্য অনড়। কিন্তু সেই সঙ্গে এই গুণ্ডাদের দলের প্রতিও আমার তীব্র ঘৃণা জন্মাচ্ছে যারা মেয়েদের একটা ছোট দলের উপরে চড়াও হয়েছে। তাও আবার অসফল ভাবে। এটাই কি তাদের ‘পুরুষত্ব’? কী লজ্জা!’