বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুকুল রায় কোন ফুলে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক চলছিল। মুকুল রায়কে বিধায়ক পদ থেকে অপসারণের আবেদন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আজ সেই আবেদন খারিজ করে দিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলে নয়, বিজেপিতেই রইলেই মুকুল রায়।
আর এই রায় সামনে আসার পরই এক বিস্ফোরক ট্যুইট করতে দেখা গেল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। এদিন ট্যুইট করে তিনি লেখেন সিবিআই এবং ইডির উচিত মুকুল রায়কে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা। মুকুলই সারদা এবং নারদা মামলায় অপরাধী বলেও দাবি করেন তিনি।
ট্যুইটে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘সিবিআই এবং ইডির উচিত সারদা-নারদা মামলায় অবিলম্বে বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে গ্রেপ্তার করা। আমি ইতিমধ্যেই দুই সংস্থাকেই এই আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছি যাতে একই সঙ্গে দুই সংস্থা মুকুল রায়কে জেরা করে। মুকুল রায় একজন প্রভাবশালী চক্রান্তকারী। এতদিন অবধি তিনি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য একাধিক রাজনৈতিক দলকে ব্যবহার করেছেন। মুকুল রায়কে কোনো মতেই ছেড়ে কথা বলা উচিত নয়।’
CBI & ED should arrest BJP leader Mukul Roy in Saradha and Narada case. I have already sent them letter praying joint interrogation with him. He is an influential conspirator. He has used different parties only for his personal protection. Mukul Roy should not be spared.
— Kunal Ghosh (@KunalGhoshAgain) February 11, 2022
এই ট্যুইট প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো বিতর্ক এবং জল্পনার ঝড় উঠেছে রাজ্যে। একই সঙ্গে চলছে সমালোচনাও। যদি সবই জানতেন তাহলে মুকুল রায় তৃণমূলে থাকাকালীন কেন কিছু প্রকাশ্যে আনেননি কুণাল ঘোষ? আজ মুকুল রায় বিজেপিতে বলেই কি সেই ক্ষোভে এহেন মন্তব্য কুণালের? উঠছে এরকম একাধিক প্রশ্ন। যদিও এ ব্যাপারে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি মুকুল রায়ের তরফে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কৃষ্ণনগর কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক হলেও ভোটের পরই মুকুল রায়কে দেখা যায় তৃণমূলের কার্যালয়ে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই তাঁকে উত্তরীয় পরিয়ে দলে ফিরিয়ে নেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন তৃণমূলের তরফেই কাজ করছিলেন মুকুল। কিন্তু এর মধ্যেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে আজই বিকেল তিনটে নাগাদ বৈঠক বসে বিধানসভায়। সেখানে মুকুল রায়ের আইনজীবী তাঁর দল প্রসঙ্গে দাবি করেন তৃণমূলে নয়, বরাবর বিজেপিতেই আছেন মুকুল। তৃণমূলের কার্যালয়ে যাওয়া নেহাতই রাজনৈতিক সৌজন্য। এরপরই যথোপযুক্ত যুক্তি না পেয়ে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন বাতিল করেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে বিজেপিতেই থাকছেন মুকুল রায়। আর এই ঘটনার পর থেকেই কার্যতই জল্পনা এবং বিতর্কের সুনামি আছড়ে পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে।