রাজ্যের দুই পুরনিগমে দ্বিতীয় স্থানে সিপিএম, বাকি দুটিতেও রামের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বামেরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক : রাজ্যের চার পুরনিগমের নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে আজ। প্রত্যাশিত ভাবেই ঐতিহাসিক জয় এসেছে তৃণমূলের। তবে ভ্রু কুঞ্চনে বাধ্য করছে চন্দননগর এবং বিধানগরে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল। সবাইকে চমকে দিয়ে পুরভোটের এই লড়াইতে অনেকখানিই এগিয়ে এসেছে বামেরা। শিলিগুড়ি এবং আসানসোলেও সিপিএমকে খুব বেশি ব্যবধানে পিছনে ফেলতে পারেনি বিজেপি।

বাংলা থেকে কার্যতই মুছতে বসেছে বামেদের নাম। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে শূণ্যে নেমে এসেছিল তারা। যার জেরে রাজ্য রাজনীতিতে একেবারেই প্রাসঙ্গিকতা হারায় বাম শিবির। এতদিন বিরোধী হিসেবে রাজ্যে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে বিজেপির নাম। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে প্রায় সব নির্বাচনেই বিজেপিকে পরাস্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এবার এই পুরভোটে সিপিএমের অপ্রত্যাশিত উত্থান কি তবে অন্য কিছুই ইঙ্গিত দিচ্ছে?

বিধাননগরে পুরভোটে দ্বিতীয় স্থানে বাম শিবির। তৃতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। পুরভোটে বিধাননগর পুরসভা থেকে তৃণমূলের ঝুলিতে গেছে ৭৩.৮২% ভোট। এখানে বামফন্ট পেয়েছে ১০.৬৬% ভোট, আর বিজেপির বরাদ্দ মাত্র ৮.৩৫%।

শিলিগুড়ি এবং আসানসোলে বিজেপি দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও খুব একটা বেশি নয় সিপিএমের সঙ্গে তাদের প্রাপ্ত ভোটের ফারাক। শিলিগুড়িতে তৃণমূল পেয়েছে ৪৮.১৪%। বিজেপি পেয়েছে ২৩.৮৪% ভোট। এখানে বামেদের প্রাপ্ত ভোট ১৭.১৯%। শিলিগুড়িতে বিধানসভা নির্বাচনে জিতলেও পুরভোটে শিকে ছেঁড়েনি বিজেপির ভাগ্যে। অন্যদিকে অবশ্য আসানসোলে ২টি আসন পেয়েছে বিজেপি। সেখানে তাদের প্রাপ্ত ভোটের পরিমান ১৫.৯০%। ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলে বামেরা সেখানে পেয়েছে ১২% ভোট।

তবে কি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বামেরা? এই প্রশ্নের জবাবে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘সিপিএম,বিজেপি এবং কংগ্রেসের মধ্যে একটা বোঝাপড়া আছে। ওরা নিজেদের মত করে কখনও একজনকে পরের বার অন্য জনকে ভোট দেয়। এক্ষেত্রে জগাই-মাধাই-গদাই থিওরি নিয়ে চলে ওরা। আর কেউ না কেউ তো দ্বিতীয় হবে, তৃতীয় হবে। আমরা আমাদেরটা নিয়ে ভাবি। দ্বিতীয় স্থানে কে এল তা নিয়ে আমাদের কিছু যায় আসে না।’

একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্য থেকে মুছে যেতেই বসেছিল সিপিএম। যদিও হাল ছাড়তে নারাজ ছিল বাম শিবির। একের পর এক চমক নিয়ে, কখনও মানুষের পাশে থেকে প্রচার চালিয়ে গেছে তারা। সেই প্রচার যে কাজে লেগেছে তারই প্রমাণ পুরভোটের এই ফলাফল। তবে কি অষ্টম বামফ্রন্ট খালি সময়েরই অপেক্ষা? এ ব্যাপারে অবশ্য খুব একটা আশাবাদী নন রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহল।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর