অবাক কান্ড! নেই কোনো দাবিদার, LIC-র তহবিলে পড়ে রয়েছে ২২ হাজার কোটি টাকা

kaolবাংলা হান্ট ডেস্ক: আমাদের দেশে বিনিয়োগকারীদের কাছে LIC সবসময়ই একটি পছন্দের প্রতিষ্ঠান। এখানে বিনিয়োগের মাধ্যমে থাকেনা কোনো ঝুঁকি, পাশাপাশি, পাওয়া যায় ভালো রিটার্নও। এছাড়াও, মাঝে মাঝেই গ্রাহকদের জন্য দুর্দান্ত সব স্কিম নিয়ে আসে LIC।কিন্তু, এবার এমন এক পরিসংখ্যান সামনে এসেছে যা দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়কগাছ হয়েছে সকলের। জানা গিয়েছে যে, রাষ্ট্রায়ত্ত বিমা সংস্থা ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের (LIC) তহবিলে বর্তমানে এক্কেবারে দাবিহীন ভাবে পড়ে রয়েছে বিপুল অঙ্কের টাকা! যেই টাকার অঙ্ক ভিরমি খাওয়াবে সকলকেই।

LIC-র তহবিলে আপাতত পড়ে রয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে যে, পলিসি হোল্ডারদের মৃত্যুর পর দীর্ঘদিন বিমার টাকা দাবি করছেন না বহু পরিবার। আর সেই টাকাই জমতে জমতে তৈরি করেছে এই বিশাল অঙ্ক।সম্প্রতি এই তথ্য উঠে এসেছে সংস্থার IPO-র খসড়ায়। পাশাপাশি, SEBI (Securities and Exchange Board of India)-র কাছে LIC-র জমা দেওয়া IPO-র খসড়ায় (ড্রাফট রেড হেরিং প্রসপেক্টাস, ডিআরএইচপি) জানানো হয়েছে যে, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত যে হিসেব পাওয়া গেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে টাকার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে প্রায় ২১ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা।

যদিও, বর্তমানে এই পরিমান আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই পরিসংখ্যানে মোট জমে থাকা অর্থের সুদসহ পরিমান জানানো হয়েছে LIC-র তরফে। সেই তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ এই পরিমান ছিল ১০ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা। পাশাপাশি, ২০২০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৫২ কোটি টাকায়।

LIC PTI

এরপরে ২০২১ সালের মার্চ মাসে সংস্থা জানায় তাদের তহবিলে জমা সুদসহ দাবিদারহীন অর্থের পরিমান ১৮ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা এবং ২০২১ সালেরই সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে হয়েছে ২১ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, যে, SEBI-র নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি বিমা সংস্থাকেই তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ১,০০০ টাকা বা তার বেশি পরিমান দাবিহীন অর্থ থাকলে সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে হয়। পাশাপাশি, পলিসিহোল্ডার বা তাঁর উত্তরাধিকারীদের সাহায্য করার প্রসঙ্গও উপস্থাপিত রয়েছে SEBI-র নির্দেশিকাটিতে।


Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর