স্বস্তিক চিহ্ন নিষিদ্ধ করার পথে কানাডা, বিতর্কের ঝড় পুরো বিশ্বজুড়ে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয়দের পবিত্র প্রতীক স্বস্তিক চিহ্ন নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটছে কানাডা। এই ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও অতি শীঘ্রই তা নেওয়া হবে বলেই জানা যাচ্ছে সেদেশের সরকারের তরফে। নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা জগমিত সিং সমর্রহিত এই প্রাইভেট মেম্বার বিল ইন্দো-কানাডিয়ানদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। ফলে তীব্র সমালোচনা এবং বিরোধিতার ঝড় উঠেছে দেশ জুড়ে।

বিগত প্রায় কুড়ি দিন ধরে কানাডার রাজধানী অটোয়াতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন হাজার হাজার ট্রাক চালকরা। তাঁদের অবরোধে পরিস্থিতি বেহাল হয়ে দাঁড়িয়েছে দেশের। এই ট্রাক চালকরা নিজেদের প্রতীক হিসেবে স্বস্তিক চিহ্ন এবং কনফেডারেট পতাকাকেই উত্থাপিত করছেন। এই ঘটনার পর এনডিপি নেতা জগমিত সিং গত ২ ফেব্রুয়ারি ট্যুইট করে বলেন, ‘কানাডায় স্বস্তিক চিহ্ন এবং কনফেডারেটের কোনো স্থান নেই। কানাডায় ঘৃণার প্রতীক নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে। সমাজে যেন বিদ্বেষের কোনো স্থান না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে একসঙ্গেই।

ব্যাপারটির ঘোরতর সমালোচনা করেছে সেদেশের হিন্দু সংগঠন গুলি। ঘটনাটির প্রতিক্রিয়ায় হিন্দুপ্যাক্ট (হিন্দু পলিসি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি কালেক্টিভ) জাস্টিন ট্রুডো এবং জগমিত সিংকে স্বস্তিক চিহ্ন এবং হাকেনকরুজ এর মধ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। হিন্দুপ্যাক্টের নির্বাহি পরিচালক উৎসব চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি শুধুমাত্র ভুল উপস্থাপনের ফলে হিন্দু এবং শিখদের বিরুদ্ধে চরম ঘৃণামূলক অপরাধ ঘটবে।

শুধুমাত্র কানাডাতেই গত মাসে ৬টি হিন্দু মন্দির ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়েছে। ‘প্রসঙ্গত, হাকেনকরুজ হল স্বস্তিকেরই মতন দেখতে নাৎসীদের প্রতীক। হিটলারের নেতৃত্বাধীন নাৎসী বাহিনী বিশ শতকে এটি ব্যবহার করত। পরে যা কী না কার্যতই হিংসা এবং বিদ্বেষের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

টরেন্টোর মানবাধিকার কর্মী তথা আইনজীবী রাগিনী শর্মা জানিয়েছেন, ভারতের কনসাল জেলারেল অপূর্ব শ্রীবাস্তব এই বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে কানাডা সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। অন্যদিকে হাউস অফ কমন্সেও ব্যাপারটি উত্থাপন করতে পারেন লিবারেল পার্টির সাংসদ চন্দ্র আর্য। ব্যাপারটি নিয়ে যে তীব্র চাঞ্চল্য এবং শোরগোল বিশ্বজুড়ে তা একপ্রকার বলাই বাহুল্য।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর