ক্লাসে হিজাব পরা নিয়ে অনড় ছিল মুসলিম পড়ুয়ারা, ৫৮ জনকে বরখাস্ত করল স্কুল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক থামার নামই নিচ্ছে না। শুক্রবার শিবমোগা জেলায় হিজাবে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পর কর্ণাটকের একটি স্কুলের 58 ছাত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পড়ুয়ারা দাবি করেছিল যে তাদের ক্লাসরুমের ভিতরে হিজাব পরতে দেওয়া উচিত। তারা বলেন, হিজাব আমাদের অধিকার, আমরা মরব কিন্তু হিজাব ছাড়ব না।

অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার শিবমোগা জেলা কর্তৃপক্ষের জারি করা নিষিদ্ধ আদেশ লঙ্ঘনের জন্য নয়জনের বিরুদ্ধে সিআরপিসির 144 ধারার অধীনে একটি মামলাও নথিভুক্ত করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে বোরখা পরতে না দেওয়ায় জেলা সদর শহরের পিইউ কলেজের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়েছে মুসলিম পড়ুয়ারা।

অন্যদিকে, তুমাকুরুর জৈন পি ইউ কলেজের ইংরেজির অধ্যাপিকাকে হিজাব পরে কলেজে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি, তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়ে যে,”কলেজে ঢোকার আগে খুলতে হবে হিজাব!” এদিকে, এই ফরমান আসতেই তিন বছরের পুরনো চাকরিতে ইস্তফা দিয়েছেন ওই অধ্যাপিকা। এই প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন যে, “আত্মসম্মান রক্ষা করতেই” চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন যে, গত তিন বছর ধরে তিনি এই কলেজে পড়াচ্ছিলেন। ওই সময়ে কেউ কখনও তাঁর পোশাক নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি বা কোনো সমস্যাও তৈরি হয়নি। কিন্তু, হঠাৎই কর্ণাটকে হিজাব বিতর্ক শুরু হতে পরিস্থিতি বদলে যায়।

ঠিক তারপরেই ওই অধ্যাপিকাকে বলা হয় যে, কলেজে ঢুকতে গেলে হিজাব পরা চলবে না। আর এরপরই চাকরিতে ইস্তফা দেন তিনি। যদিও, অধ্যাপিকার দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে কলেজের অধ্যক্ষ কে টি মঞ্জুনাথন জানিয়েছেন, এই কলেজের কোনও সদস্যই ওই অধ্যাপিকাকে হিজাব খুলতে বলেননি। এমনকী, তিনি নিজেও এমন কোনও নির্দেশ দেননি বলেই দাবি অধ্যক্ষের।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর