বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভোট যুদ্ধের দামামা বাজলেই শুরু হয় রাজনৈতিক দলগুলির মানুষকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পালা। কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। কখনওই বাস্তবে পরিণত হয় না সেসব বিরাট কথা। এবার লাগাম লাগতে চলেছে এই ঝুড়িঝুড়ি মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে।সম্প্রতি সুপ্রিমকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আইনজীবী অশ্বিনী কুমারের দায়ের করা এই মামলাটিতে রাজনৈতিক দলগুলির নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ন্ত্রণ করা এবং প্রতিশ্রুতিগুলিকে যাচাই করার কথা বলা হয়েছে, যেখানে নিজেদের প্রতিশ্রুতির জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবে দলগুলি।
এই আবেদনে আরও বলা হয়, কোনো দল নির্বাচনী ইস্তেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হলে তাদের রাজনৈতিক চিহ্ন এবং স্বীকৃতি বাতিল করে দেওয়া হবে। বলা হয়, ‘যদি একটি রাজনৈতিক দল নির্বাচিত হয় তাহলে নির্বাচনী ইস্তেহারকে একটি ভিশন ডকুমেন্ট করা উচিত। এটি রাজনৈতিক দল এবং ক্ষমতায় থাকা সরকারের উদ্দেশ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গির একটি ঘোষণাপত্র।’
একই সঙ্গে অতিরঞ্জিত এবং অবাস্তব সমস্ত প্রতিশ্রুতি এড়ানোর কথাও এই মামলায় বলেছেন আইনজীবী। তাঁর মতে ‘অতিরঞ্জিত প্রতিশ্রুতি গুলি রাষ্ট্রীয় তহবিলে রাখা জনসাধারণের টাকার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হতে পারে আর্থিক সংকটের সময়। ইস্তেহারে বলা সমস্ত প্রতিশ্রুতিই মিথ্যে। কিন্তু তবুও নির্বাচন কমিশনের উচিত একটা সীমা বেঁধে দেওয়া।
এই মিথ্যে প্রতিশ্রুতির জন্য দরকারে রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’দেশে নির্বাচনের ঘন্টা বাজলেই মাছির মতন সেখানে গিয়ে ভিড়তে থাকেন সমস্ত রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা। ক্রমাগত চলে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি মিথ্যে আশ্বাস প্রদান। সেই প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা করে মানুষ ভোট দিয়ে ওই দলকে জিতিয়ে আমার পরই নিজেদের সেই ইস্তেহারকে বেমালুম ভুলে যায় দল।
যার জেরে কার্যতই একপ্রকার প্রতারিত হন দেশের সাধারণ মানুষ। সেই কারণেই এবার দলগুলির নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অশ্বিনী কুমার। পুরো বিষয়টি সুপ্রিমকোর্টকে খতিয়ে বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছেন ওই আইনজীবী।