বাংলা হান্ট ডেস্ক: একনাগাড়ে বেড়ে চলা ভোজ্য তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে জর্জরিত সকলে। অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্যের লাগামছাড়া দামের কারণে একপ্রকার আগুন জ্বলছে গৃহস্থের হেঁসেলে! এমতাবস্থায়, গ্রাহকদের জন্য এবার বিরাট সুখবর এল। গত সোমবার “সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া” (SEA) তার সদস্যদের কাছে রান্নার তেলের দাম প্রতি লিটারে তিন থেকে পাঁচ টাকা কমানোর জন্য আবেদন করেছে।
পাশাপাশি, এই ব্যবস্থা যাতে দ্রুত কার্যকর করা যায় সেদিকেও নজর দিচ্ছে SEA। তবে, এটা নিয়ে মোট দ্বিতীয়বারের জন্য SEA এমন আবেদন জানালো। গত বছরের দীপাবলির সময়েও দাম কমানোর আবেদন করেছিল এই সংস্থা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেলের প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি আমদানি করে। এদিকে, ভোজ্য তেলের অভ্যন্তরীণ খুচরো মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত কয়েক মাসে সরকার পাম তেলের আমদানি শুল্ক কমানোর পাশাপাশি মজুত সীমার দিকেও কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সারাদেশে গড় খুচরো মূল্য গত বছরের তুলনায় বেশি রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে SEA এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “এই মুহূর্তে ভোজ্য তেলের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। ইন্দোনেশিয়ার মতো কিছু রপ্তানিকারক দেশও লাইসেন্সের মাধ্যমে পাম তেল রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে। এ ছাড়া রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের আবহে সূর্যমুখী তেলের দামও গগনচুম্বী হয়ে রয়েছে। পাশাপাশি, ব্রাজিলে খারাপ আবহাওয়ার কারণে সয়া ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে।”
এমতাবস্থায়, SEA সদস্যদের প্রতি টন ভোজ্য তেলের দাম তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা (অর্থাৎ প্রতি কেজিতে তিন থেকে পাঁচ টাকা) কমাতে বলেছে। SEA আরও বলেছে যে, দেশীয় সর্ষের ফসল খুব ভাল হয়েছে এবং চলতি বছরে রেকর্ড ফসল আশা করা হচ্ছে। এতে ভোক্তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলতে পারে।
উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের সংগৃহীত তথ্য অনুসারে, চিনাবাদাম তেলের (প্যাকড) গড় খুচরো মূল্য এই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতি কেজি ১৭৭.৭৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে যা এক বছর আগে ছিল ১৬৪.৫৫ টাকা। একইভাবে, সরিষার তেলের (প্যাকড) খুচরো মূল্য এই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি প্রতি কেজি ১৮৭.০৩ টাকা হয়েছ। যা গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারিতে প্রতি কেজি ১৪৫.০২ টাকা ছিল।