বাংলাহান্ট ডেস্ক: দুদিন আগেই গিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে পুরনো কিছু লেখা আবারো শেয়ার করেছিলেন বাংলাদেশি লেখিকা তসলিমা নাসরিন (Taslima Nasrin)। ব্যস, তারপরেই ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ বিতর্কিত বাংলাদেশি লেখিকা। সাময়িক ভাবে ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ হয়েছেন তিনি।
আগামী ২৮ দিন পর্যন্ত তসলিমার পোস্ট ফেসবুক ফিডে সবথেকে নীচে থাকবে। ৪৫ ঘন্টা পর্যন্ত পোস্ট বা কমেন্ট করতে পারবেন না তিনি। কোনো গ্রুপেও পাঁচ দিন পর্যন্ত অংশ নিতে পারবেন না তিনি। তসলিমা লিখেছেন, এটাই একুশে ফেব্রুয়ারির জন্য তাঁর উপহার।
লেখিকা অবশ্য দমেননি। সম্প্রতি এআইএমআইএম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মন্তব্যের উত্তরে পালটা কটাক্ষ শানিয়েছেন তসলিমা। হিজাব বিতর্কে মন্তব্য করায় লেখিকাকে ‘ঘৃণার প্রতীক’ বলে চোখ রাঙিয়েছিলেন ওয়েইসি।
তিনি বলেছিলেন, “আমি এখানে বসে এমন কোনো মানুষকে উত্তর দিতে বাধ্য নেই যিনি ঘৃণার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। আমি এখানে বসে এমন কোনো মানুষকে উত্তর দেব না যিনি নিজে একজন শরণার্থী আর নিজের দেশে নিজেকে বাঁচাতে না পেরে ভারতে পড়ে রয়েছেন। আমি এখানে বসে তাঁকে নিয়ে কোনো কথা বলব না।”
পালটা তসলিমা লেখেন, ‘ভারতের রাজনীতিবিদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসি ধর্মের রাজনীতি করেন। তিনি প্রায়ই আমার উদ্দেশে ঘৃণা ছুড়ে দেন, কারণ আমি ”রিফিউজি”। বলেন নিজের দেশে আমি মার খেয়েছি, নিজের দেশ থেকে ”চামড়া বাঁচাতে” আমি অন্য দেশে চলে এসেছি। এই লোকটি হায়দারাবাদ প্রেস ক্লাবে আমার তেলুগু বইয়ের উদবোধন অনুষ্ঠানে আমাকে লোহার চেয়ার দিয়ে মাথায় মারার জন্য, আমাকে শারীরিক আক্রমণ করার জন্য, প্রেস ক্লাব ভাঙচুর করার জন্য প্রচুর গুণ্ডা পাঠিয়েছিলেন।’
এখানেই না থেমে রীতিমতো কটাক্ষ শানিয়ে তসলিমা দাবি করেছেন, ওয়েইসির নবীও ‘রিফিউজি’ ছিলেন। ‘চামড়া বাঁচাতে’ মক্কা থেকে মদিনা পালিয়ে গিয়েছিলেন। নবী ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে চেয়েছিলেন। আর তিনি ‘যুক্তিবাদ’এর প্রচার করতে চান।