বাংলাহান্ট ডেস্ক : পুরসভা দখলের লড়াইতে উত্তেজনা তুঙ্গে বাংলায়। দফায় দফায় অভিযোগ প্রতি অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এরই মধ্যে ছাপ্পা ভোটার সন্দেহে টোটো থেকে নামিয়ে মারধর করা হল এক যুবককে। ভাঙচুর চালানো হল টোটোতেও। জানা যাচ্ছে ২০০ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের হয়ে ছাপ্পা ভোট দিতে গিয়েছিলেন ওই যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কৃষ্ণনগর পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালিতলা এলাকায়।
অভিযোগ, দুপুর বেলা ২০ জনকে নিয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পৌঁছান ওই যুবক। অভিযুক্ত যুবকের বাড়ি শক্তিনগর নতুনগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পাড়ার তৃণমূলের নেতার কথায় এদিন ওই পুরভোট কেন্দ্রে পৌঁছান তিনি। এরপরই বহিরাগত অভিযোগে তাঁকে গণধোলাই দেন গ্রামবাসীরা।
অভিযুক্ত ফরজ শেখ জানান, ‘আমি কিছু জানি না, ২০০ টাকা করে দেবে বলেছিল আমাকে পাড়ার তৃণমূলের লোকেরা। আমার বাড়ি পুরসভায় নয়। গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তবুও ২০ জনকে নিয়ে আমি টোটো থেকে নামতেই মারধর শুরু করে দেয় এলাকার লোকজন। টোটোও ভেঙে দেওয়া হয়’।
তিনি আরও জানিয়েছেন,’ আমি ওখানে টোটো নিয়ে যাই। নামার পরই আমাকে ওখানকার লোকরা জিজ্ঞেস করে তোমার বাড়ি কোথায়। আমি বলি শক্তিনগর নতুনগ্রাম। তারপরও আমাকে মারে সবাই মিলে। কেন মেরেছে জানি না। তৃণমূলের লোকেরা মুসলমান বলে আমাকে মেরেছে। আমি কিছু করতে যাইনি। আমাকে ২০০ টাকা দিয়ে তৃণমূলের লোকেরা বলেছিল ওখানে কোনও গন্ডোগোল যাতে না হয় তাই দেখতে। আমাদের পাড়া থেকে ২০ জন লোক নিয়ে গেছিল তৃণমূল। ‘
ঘটনার জেরে কার্যতই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। বেধড়ক মারধর করা হয় ওই যুবককে। নাক ফেটে রীতিমতো রক্তারক্তি কান্ড ঘটে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় কালীনগর এলাকায়। ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধীরা। যদিও তৃণমূলের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়াই পাওয়া যায়নি ঘটনাটি সম্পর্কে।