বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকাল পুরসভা নির্বাচনকে ঘিরে কার্যতই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কামারহাটি। এলাকায় বহিরাগত দুষ্কৃতিরা তাণ্ডব চালায় বলেই অভিযোগ। একই সঙ্গে এলাকায় মুড়ি মুড়কির মতন পড়তে থাকে বোমাও। সিপিএম প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে চলে বোমাবাজি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বুঝে এলাকায় নামে র্যাফ। আর রাজ্য পুলিশের এহেন তৎপরতার বিরুদ্ধেই এবার মুখ খুললেন মদন মিত্র। রাজ্য পুলিশকে দুষেই একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল তাঁকে।
রবিবার মদন মিত্র বলেন, ‘পুলিশ তুমি কার? যে ক্ষমতায় আছে তার। পুলিশ কখনও কারও হয় না। কিন্তু পুলিশের এরকম নির্লজ্জ চরিত্র আমি আগে দেখিনি। আসল ভোটারকে পর্যন্ত দাঁড়াতে দিচ্ছে না। মারধর করছে। তারা কি পদ্মরত্ন পাওয়ার জন্য খুব উৎসাহিত?’ তিনি আরও বলেন, ‘বিজেপি বাইরে থেকে গুন্ডা আনছে, এনে বলছে তৃণমূলের, অ্যারেস্ট করছে আমাদের ছেলেদের। সেক্টর অফিসার দিব্যেন্দু মণ্ডল পাঁচ পয়সার খদ্দের, এএসআই না কী যেন, সে কাল রাত থেকে হুমকি দিচ্ছে আমাদের ছেলেদেরকে। আমি ওর বিরুদ্ধে কোর্টে যাব। পুলিশের সন্ত্রাসে ভোটে দেরি হচ্ছে। সুষ্ঠ ভোট হতে দিচ্ছে না পুলিশ। পুলিশ দেখে দেখে তৃণমূল কর্মীদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে।’
ভোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নিশ্চিন্তে শান্তিতেই ভোট হচ্ছে। এই তো দেখাই যাচ্ছে পূর্ণ শান্তি। শান্তি বিরাজ করছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন তৃণমূলের প্রার্থীদের মারছে, প্রার্থীর জামাইকেও মারছে। এই যে অর্জুন সিং বলেছিলেন ইভিএম ভেঙে দেবেন আমি তখন বিশ্বাস করিনি সত্যিই হবে, কিন্তু সত্যিই কংগ্রেস এবং বিজেপি ইভিএম ভেঙে দিল।’ ছাপ্পা ভোট প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন মদন মিত্র। তাঁর বিস্ফোরক দাবি, ‘আমাদের ক্ষমতা আছে ৫ মিনিটের মধ্যে ভোট করিয়ে নেওয়ার। কিন্তু তা হচ্ছে কি? আমরা কোনও ছাপ্পা করছি না। আমরা ছাগলের ৩ নম্বর ছানা মারপিঠ আমরা করতে পারি না।’ এলাকায় বোমাবাজি প্রসঙ্গে ঘুরিয়ে বিয়ে বাড়ি, পুজোতে বোম না ফাটলে জমে না বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল পুরভোটকে কেন্দ্র করে খণ্ডযুদ্ধ চলে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনে আজ ধর্মঘট ডেকেছে বিজেপি। তবে যে রাজ্য পুলিশের পক্ষে তৃণমূলই সওয়াল করেছিল সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মদন মিত্রের এহেন অভিযোগে যে খানিক হলেও অস্বস্তিতে তৃণমূল তা বলাই বাহুল্য।