বাংলা হান্ট ডেস্ক: বিশ্বজুড়েই এখন আলোচনার শীর্ষে রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ। আপাতত, গোটা বিশ্ববাসীর কাছে এটা স্পষ্ট যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে এত সহজে পিছিয়ে আসবেন না। বরং, এখন তাঁর চোখ রয়েছে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখল করার দিকে।
এদিকে, পুতিন যখন ইউক্রেন আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেন, ঠিক সেই সময়েই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মস্কো সফর করেন। তবে, এখানেই শেষ নয়, এবার পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি আরও একধাপ দেখিয়ে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবাকে শান্তির পাঠ শেখানোর চেষ্টা করেছেন।
কুরেশি ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী কুলেবাকে সরাসরি ফোন করে de-escalation-এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, কূটনীতির মাধ্যমে যে কোনো সংঘর্ষই এড়ানো যায়। পাশাপাশি, কুরেশি আরও বলেন যে, যুদ্ধে কারো কোনো আগ্রহ নেই। কারণ উন্নয়নশীল দেশগুলোকে সবসময় যুদ্ধের মূল্য দিতে হয় তাদের অর্থনীতির বিশাল ক্ষতির মাধ্যমে।
ইউক্রেনে আটকে পড়া পাকিস্তানি ছাত্র ও বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার বিষয়েও কুরেশি ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে পাকিস্তানের নাগরিকদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে সেখানকার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার জন্য কুরেশি কুলেবাকে ধন্যবাদও জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইউক্রেনের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক আগে অনেক ভালো থাকলেও পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের সময়ে পাকিস্তান অবিলম্বে তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে। পাকিস্তান জানে এই যুদ্ধে রাশিয়ার পাল্লা যে কোনো মূল্যেই ভারী হতে চলেছে। আগামী সময়ে, এই কঠিন আবহে রাশিয়াকে দেওয়া উন্মুক্ত সমর্থনের মূল্য হিসাবে পাকিস্তান কিছু আর্থিক সাহায্য পাওয়ার দিকেই তাকিয়ে থাকবে।
এদিকে, পাকিস্তানের আরেক বন্ধু চিন ইতিমধ্যেই সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে রাশিয়ার আক্রমণকে খোলাখুলিভাবে সমর্থনের মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে শুরু করেছে। সেই রাস্তায় হেঁটেই চিনের অনুপ্রেরণায় পাকিস্তান এখন প্রকাশ্যে রাশিয়ার পক্ষ নিচ্ছে। সে কারণেই, বর্তমানে রাশিয়ার হামলার শিকার ইউক্রেনকে শান্তি বজায় রাখতে সেনা মোতায়েন বন্ধ করার পরামর্শ দিচ্ছেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী।