বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেও শুধুমাত্র প্রশাসনিক কাজকর্মেই সীমাবদ্ধ নন তিনি। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হওয়ার সঙ্গে তিনি একাধারে চিত্র শিল্পী, লেখিকা, কবি এবং গীতিকারও বটে। প্রতিবছর বইমেলাতেই বের হয় তাঁর নতুন বই। এবছরও তার ব্যতিক্রম নয়। প্রথা মেনেই বইমেলায় প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর নতুন ১২ টি বই। কিন্তু রাজ্যপাট সামলে কীভাবে সময় পান লেখার? এবার বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে সেই কথাই নিজেই জানালেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ থেকেই সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে শুরু হল আন্তর্জাতিক কলকাতা বই মেলা। এবার বইমেলাতে প্রকাশিত হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবিতা বিতান’, ‘দুয়ারে সরকার’ সহ ১২ টি বই। এখনও অবধি মোট ১১৫ টি বই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। কিন্তু হাজার ব্যস্ততা সত্ত্বেও কীভাবে এত লেখালিখির সময় পান মুখ্যমন্ত্রী? এদিন তিনি বলেন, ‘সম্ভবত ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর আমি কিছু বই বইমেলায় দিই। কারণ আগের জীবনের কোনও কিছু ইতিহাসে লেখা নেই। বাবা-মা কোথায় হারিয়ে ফেলেছেন জানি না। এখন বছরে যে ঘটনাগুলো ঘটছে। কোনটা আকৃষ্ট করছে তা ভাষার মাধ্যমে প্রকাশের জন্য আমার একটা পেন আছে আর একটা মুখ রয়েছে। মুখ কখনও কখনও কথা বলে। কথার মধ্যে দিয়ে কথা বের হয়। আমি এখনও মনে করি কলমের বিকল্প কিছু নেই। মনের ভাষা বের করতে গেলে, একটা খাতা আর একটা পেনের যে দাম সেটা তাঁরাই জানেন, যাঁরা লেখেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেড মিল করতে করতেই কাউকে ব্রিফিং করে দিই। বলি এই লিখে ফেল তো এইটুকু। ওইটুকু লিখতে লিখতে, পথ চলতে-চলতে, ফোনে কথা বলতে বলতে। ইন্দ্রনীলরা আমাকে খুব ক্ষ্যাপায় বলে, দিদি তুমি মোবাইল মিউজিক ডিরেক্টর। মোবাইলে গান দাও, মোবাইলে লিখে দাও। সেই রকম ট্রেড মিল করতে করতে আমাকে এগুলো করতে হয়।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিনই ইউক্রেনে আটকে পড়া ছাত্রছাত্রীদের দেশে ফেরানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে এদিনও মুখ খোলেন তিনি। বইমেলা থেকে বিশ্ব শান্তির পক্ষেই সরব হন মমতা। ভারতকে বিশ্ব শান্তির নেতৃত্ব দিয়ে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।