বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: একটা সময় ছিল যখন ভারতীয় দলের একজন খেলোয়াড়কে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র হিসাবে বিবেচনা করা হত, কিন্তু মহেন্দ্র সিং ধোনির অবসর নেওয়ার পরে, এমন একটি টার্নিং পয়েন্ট এসেছিল, যা এই খেলোয়াড়ের কেরিয়ার শেষ হতে শুরু করেছিল। মহেন্দ্র সিং ধোনির পরে, যখন বিরাট কোহলি অধিনায়ক হন, এই খেলোয়াড়কে ভারতীয় দলের হয়ে খুব কম সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বেঞ্চে বসেই এই খেলোয়াড়ের কেরিয়ারের একটি বড় সময় নষ্ট হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু এখন রোহিত শর্মার অধিনায়ক হওয়ার পর আবারও ভাগ্য খুলে গেল এই খেলোয়াড়ের।
কুলদীপ যাদব হলেন সেই খেলোয়াড়, যার কারণে কোহলি এবং অনিল কুম্বলের মধ্যে মতের অমিল হতে শুরু হয়েছিল। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরের সময় অধিনায়ক কোহলি এবং প্রাক্তন কোচ কুম্বলের মধ্যে সম্পর্ক ঠিক ছিল না। আসলে, সিরিজের তৃতীয় টেস্টে কুম্বলে চেয়েছিলেন কুলদীপ যাদবকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হোক, কিন্তু কোহলি তা মেনে নেননি। ধর্মশালা টেস্টের সময় এই বিতর্ক হয়েছিল যখন চোটের কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না বিরাট কোহলি এবং দলের অধিনায়ক ছিলেন অজিঙ্কা রাহানে।
কুলদীপ যাদবের মধ্যে প্রতিভার অভাব নেই। তিনি এইমুহূর্তে দেশের উচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটের একমাত্র ‘চায়নাম্যান বোলার”। এটি একটি খুব অনন্য বোলিং শৈলী, যেখানে বাম হাতের স্পিনার আঙ্গুলের পরিবর্তে কব্জির ব্যবহার করে স্পিন করেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি যখন ভারতীয় দলের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন তখন কুলদীপ যাদব সবচেয়ে বেশি লাভবান হতেন, কিন্তু ধোনির অবসর নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কুলদীপ যাদবের কেরিয়ারে আর একই গতিতে এগোয়নি। কিন্তু এখন আবার রোহিত শর্মার অধিনায়ক হওয়ার পর কুলদীপ যাদব ফের নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছেন।
বিরাট কোহলি যখন ভারতের অধিনায়ক এবং রবি শাস্ত্রী যখন প্রধান কোচ ছিলেন, তখন কুলদীপ যাদবের কেরিয়ারে প্রায় শেষই হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন বিরাট কোহলি কোনও ফরম্যাটেই অধিনায়ক নন, এমন পরিস্থিতিতে নতুন অধিনায়ক রোহিত শর্মা তাকে সীমিত ওভারে কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিচ্ছেন।