বাংলাহান্ট ডেস্ক: প্রতিটি মানুষের জীবনে কতই না লড়াই থাকে। লাইমলাইট পেয়েও স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে পারে। আবার খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েও যে শুধুমাত্র অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর কয়েকটা শক্ত কাঁধের উপরে জোর দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো যায় তা অজানাই থেকে যেত ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma) কাহিনি না জানলে। ক্যানসারের (Cancer) মুখ থেকে ফিরে এসে জীবনের জয়গান গেয়েছেন তিনি। তাও দু দুবার।
ঐন্দ্রিলার কাহিনি তো স্রেফ গল্প নয়, বাস্তব। যে বাস্তবের সঙ্গে গত এক বছর ধরে যুক্ত থেকেছেন অভিনেত্রীর অনুরাগীরাও। শুধু ঐন্দ্রিলা, সব্যসাচী (Sabyasachi Chowdhury) বা তাঁদের পরিবার নয়, বহু শুভাকাঙ্খী নিরন্তর প্রার্থনা করেছেন ঐন্দ্রিলার সুস্থতার। আবারো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার। সমবেত প্রার্থনার যে জোর থাকে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।
সাক্ষাৎ মৃত্যুকে হারিয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। এবার ক্যামেরার সামনেও ফিরলেন। আর সেই সুখবর জানালেন অভিনেত্রীর সঙ্গে ছায়ার মতো জুড়ে থাকা মানুষটা, সব্যসাচী চৌধুরী। ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এ আসতে চলেছেন ঐন্দ্রিলা। খেলা, আনন্দ, চুটিয়ে আড্ডা দিতে আসছেন তিনি এই জনপ্রিয় গেম শোতে।
মঙ্গলবার শুটিং সেরেছেন ঐন্দ্রিলা। শোয়ের একটি ছবি শেয়ার করেছেন সব্যসাচী। নীল ও সোনালি সালোয়ার কামিজে সেজেছেন অভিনেত্রী, মুখে বাঁধভাঙা হাসি। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে গানের তালে তালে নাচতে দেখা যাচ্ছে তাঁকে। এই ছবিটির সঙ্গেই আরো একটি পুরনো ছবি শেয়ার করেছেন সব্যসাচী। সেটি হাসপাতালের। বেডে চোখ বুজে শুয়ে অসুস্থ ঐন্দ্রিলা।
অভিনেতা দিখেছেন, ‘প্রথম ছবিটি দিল্লির হাসপাতালে তোলা, কেমো শুরু হয় সেইদিন। ১ মার্চ, ২০২১। দ্বিতীয় ছবিটি গতকালের। ১ মার্চ, ২০২২। উপায় না থাকলে, হিমশীতল রাতে নিজের স্বপ্নগুলোকে ঝলসে তাপ পোয়াতে হয়। ভোরের আলো ফুটলে, ফের নতুন করে স্বপ্ন বুনতে হয়। নিজের স্বপ্নপোড়া গন্ধ যতদিন তোমার নাকে লেগে থাকবে, জানবে তুমি অপ্রতিরোধ্য। এভাবেই ফিরে আসা যায়।’
সব্যসাচীর পোস্ট দেখে চোখ ছলছল ঐন্দ্রিলার। লিখেছেন, ‘তুমি তো কাঁদিয়ে দিচ্ছ!’ শ্রুতি দাস লিখেছেন, এই দুজন মানুষই তাঁর অনুপ্রেরণা। ভালবাসা, শুভেচ্ছায় জুটিকে ভরিয়ে দিয়েছেন সকলে। অনেকে আর্জি জানিয়েছেন, এবার সিরিয়ালে দেখতে চান ঐন্দ্রিলাকে।