বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চলতে থাকা ভয়াবহ যুদ্ধে ভারতের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল ইউক্রেনে MBBS পড়তে যাওয়া পড়ুয়াদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনা। তবে, এই যুদ্ধের আবহে একটা প্রশ্ন ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে ভারতবাসীদের মনে। আর তা হল, MBBS পড়ার জন্য কেন এত বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াকে ভারতের বাইরে যেতে হয়?
এদিকে, এই প্রশ্নের ভিত্তিতে বিভিন্ন রকম উত্তর উঠে এলেও মেডিক্যাল পড়ুয়াদের এই অবস্থা দেখে এবার বড়সড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতের অন্যতম সফল বিজনেস টাইকুন আনন্দ মাহিন্দ্রা। এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার টুইটের মাধ্যমে আনন্দ জানান যে, তিনি জানতেন না ভারতে মেডিকেল কলেজের এত অভাব রয়েছে।
পাশাপাশি, তিনি তাঁর কোম্পানি টেক মাহিন্দ্রার এমডি এবং সিইও সি.পি. গুরনানিকে ট্যাগ করে লিখেছেন, “আমরা কি মাহিন্দ্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিক্যাল পড়ার জন্য একটি ইনস্টিটিউট স্থাপনের কথা ভাবতে পারি?”
এদিকে, আনন্দ মাহিন্দ্রার এই টুইটের পরে, অনেক ব্যবহারকারী তাঁকে জানিয়েছেন যে, ভারত থেকে বিপুল সংখ্যক পড়ুয়া কেবলমাত্র নির্দিষ্ট আসনের অভাবে মেডিক্যাল পড়ার জন্য ইউক্রেনে যায় না। বরং ভারতের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে পড়ার খরচও একটা বড় কারণ।
পি ভামশীধর রেড্ডি নামে এক ব্যবহারকারী এই বিষয়টি উপস্থাপিত করে মাহিন্দ্রাকে অনুরোধ করে জানান যে, আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানে খেয়াল রাখবেন এর ফি যেন অন্য প্রতিষ্ঠানের মতো কোটি টাকার না হয়। এদিকে, এর উত্তরে আনন্দ মাহিন্দ্রা জানান যে, তিনি অবশ্যই তা লক্ষ্য রাখবেন।
আনন্দ মাহিন্দ্রা তাঁর টুইটের সাথে যে পরিসংখ্যান শেয়ার করেছেন তাতে জানা গিয়েছে যে, ভারতের প্রায় ১৮,০০০ পড়ুয়া ইউক্রেনে MBBS পড়তে গেছেন। পাশাপাশি, ২৩,০০০ পড়ুয়া MBBS পড়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছেন চিনেও।
I had no idea that there was such a shortfall of medical colleges in India. @C_P_Gurnani could we explore the idea of establishing a medical studies institution on the campus of @MahindraUni ? https://t.co/kxnZ0LrYXV
— anand mahindra (@anandmahindra) March 3, 2022
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আনন্দ মাহিন্দ্রা সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত সক্রিয়। প্রায়ই তিনি সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁর মতামত প্রদানের পাশাপাশি কিভাবে সাহায্য করা যায় সেই দিকে নজর দেন। এছাড়াও, তিনি প্রতিটি বিষয় নিয়েই খোলামেলা কথা বলেন। একাধিকবার সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করে তাঁদেরকে সাহায্য করতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। যার ফলে দিন দিন তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়ছে নেটমাধ্যমেও।