বাংলাহান্ট ডেস্ক : সপ্তাহখানেক আগে ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। ভয়াবহ যুদ্ধে শোচনীয় সেদেশের পরিস্থিতি। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরই ধীরে ধীরে সামনে আসতে থাকে সেদেশে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়াদের খবর। ভারত সরকারের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয় নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হবে সবাইকেই। কিন্তু খারাপ খবরটা পাওয়া যায় মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ৷ খাবার কিনতে বেরিয়ে রাশিয়ার আক্রমনে প্রাণ যায় উত্তর কর্ণাটকের বাসিন্দা নবীন শেখরাপ্পার। ইউক্রেন যুদ্ধে প্রাণ দেওয়া প্রথম ভারতীয় তিনিই।
সুস্থ ভাবে তো ফিরিয়ে আনা আর এ জীবনে কখনও সম্ভব নয় ছেলেকে। তাই তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর ছেলের দেহটুকু ফেরত চেয়ে সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন পরিবার। কিন্তু এই প্রসঙ্গে কর্নাটকের বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে কার্যতই তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।
কর্ণাটকের হুবলি ধারওয়াদের বিধায়ক অরবিন্দ বেল্লাদের মতে, ‘একটি মৃতদেহের কফিন অনেক খানি জায়গা নিয়ে নেয় বিমানে। সেই জায়গায় কমপক্ষে ৮-১০ জন মানুষ ভালো বাসে বসে চলে আসতে পারে।’ তিনি আরও বলেন৷ ‘সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সবাইকে ফেরাতে চেষ্টা করছে। কিন্তু যেখানে সবাইকে জীবিত ফিরিয়ে আনাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে শবদেহ ফিরিয়ে আনাটা সমস্যা।’ ভারতীয় ওই তরুণ ছাত্রের মৃত্যুতে কার্যতই শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। সেখানে বিধায়কের এহেন অসংবেদনশীল মন্তব্যে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় গোটা দেশে।
নবীনের পরিবার জানিয়েছে, শুক্রবারের মধ্যেই নবীনের দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। এই ব্যাপারে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন নবীনের বাবা। ছেলেকে সুস্থ শরীবে ফিরিয়ে আনবেন। এমনটাই কথা দিয়েছিলেন বাবা। কিন্তু আর সে কথা রাখা সম্ভব নয় হাজার চেষ্টা করলেও। তাই বর্তমানে মৃত ছেলের দেহটুকু পেতেই আকুল পরিবার। তবে এরই মধ্যে বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যে সেটুকুও সত্যিই সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।