বাংলা হান্ট ডেস্ক: ইউক্রেন সঙ্কটের মধ্যেই শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সেখানে, বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন যে, প্রথম এডভাইসরি ইস্যু হওয়ার পরে ২০ হাজরেরও বেশি ভারতীয় নাগরিক ইউক্রেন থেকে ভারতে ফিরে এসেছেন।
“অপারেশন গঙ্গা”-র অধীনে ইউক্রেন থেকে এখনও পর্যন্ত ৪৮ টি বিমান প্রায় ১০,৩৪৮ জন ভারতীয়কে নিয়ে দেশে পৌঁছেছে। পাশাপাশি, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ টি বিমানের সময়সূচি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, “আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে ১৬ টি ফ্লাইট ভারতে পৌঁছনোর পরে, ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করা প্রায় সমস্ত ভারতীয় দেশে ফিরতে সক্ষম হবেন। যদিও, কিছু মানুষ এখনও ইউক্রেনে আছেন আমরা ভবিষ্যতে তাঁদের আনতে ফ্লাইটের সময়সূচী চালিয়ে যাব।”
পাশাপাশি, তিনি আরও জানিয়েছেন, “আমরা পূর্ব ইউক্রেনের দিকে সবচেয়ে বেশি মনযোগ দিচ্ছি, বিশেষ করে খারকিভ এবং পিসোচিনে। আমরা সেখানে কয়েকটি বাসের ব্যবস্থা করতে পেরেছি। পাঁচটি বাস ইতিমধ্যেই আমাদের সাহায্য করছে। আগামী সময়ে আরও কিছু বাসও চালু করা হবে। পিসোচিনে ৯০০-১০০০ জন ভারতীয় আটকা পড়েছেন। একইভাবে সুমিতে সাত শতাধিক ভারতীয় নাগরিক রয়েছেন। সুমিকে নিয়েও আমরা চিন্তিত।”
এছাড়াও তিনি জানান, “আমরা ইউক্রেন প্রশাসনের কাছে একটি বিশেষ ট্রেনের দাবি জানিয়েছিলাম, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো উত্তর পাইনি। আমরা ভারতীয়দের সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাব্য সব উপায়ে চেষ্টা করছি। তাঁদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনই আমাদের অগ্রাধিকার।” এদিকে, যুদ্ধবিরতির প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, “যুদ্ধবিরতি হলে সেটাই হবে সবচেয়ে ভালো কাজ। যুদ্ধবিরতি ছাড়া আমাদের কাজ কঠিন হয়ে পড়ছে। আমরা ইউক্রেন এবং রাশিয়াকে অন্তত একটি স্থানীয় যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে আমাদের জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিতে পারি।”
এদিকে, ইউক্রেনের কিয়েভে আটকে পড়া আহত ভারতীয় ছাত্র হারজোত সিং সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেছেন যে, “হারজোত সিংয়ের চিকিৎসার খরচ ভারত সরকার বহন করবে। আমরা তাঁর চিকিৎসার অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছি, একটি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে থাকায় তিনি সমস্যায় পড়েছেন।” পাশাপাশি, বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই তারা একজন বাংলাদেশী নাগরিককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে এসেছে এবং একজন নেপালি নাগরিককে সরিয়ে নেওয়ার জন্যও তাদের কাছে অনুরোধ এসেছে।