বাংলাহান্ট ডেস্ক: দুই সময়ের দুই ‘ভাইরাল’ মানুষ। মাঝে তিন বছরের ব্যবধান। রানু মণ্ডল (Ranu Mondal) ও ভুবন বাদ্যকর। একজনের জনপ্রিয়তা স্তিমিত হয়েও নিভছে না। আরেকজন এখনো খ্যাতির মধ্য গগনে। দুজনের এখনো দেখা হয়নি সামনাসামনি। কিন্তু দ্বিতীয় জনের দাপটে প্রথম জনের প্রাণ অতিষ্ঠ।
কেমন করে? সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন রানু মণ্ডল। নিজের আসন্ন বায়োপিকে কয়েকটি গান গেয়েছেন তিনি। সিধু ও সন্দীপ করের সঙ্গীত পরিচালনায় গানদুটি রেকর্ড করার জন্য দক্ষিণ কলকাতার এক স্টুডিওতে আনা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন রানু।
কিন্তু নতুন জায়গায় এসে অপ্রস্তুতের একশেষ তিনি। চেনা রানুর সঙ্গে এই রানুর যেন কোনো মিলই নেই। এক নাগাড়ে একটাই কথা তাঁর মুখে, “বাড়ি যাবো। ভাল লাগছে না।” আসলে রানু মণ্ডল কলকাতায় আসছেন শুনে সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি সাংবাদিক, ইউটিউবারদের একাংশ। তাদের বিচিত্র সব দাবি।
কেউ জোর করছেন, ‘কাঁচা বাদাম’ গান গেয়ে শোনানোর জন্য। আবার কারোর দাবি, এমন কোনো বিষ্ফোরক বক্তব্য যা হিট হবেই হবে। আসলে বেফাঁফ রানুর এসব বিষয়ে বিশেষ খ্যাতি আছে কিনা। কিন্তু এসবের মাঝে পড়ে আসল মানুষটির অবস্থা যেন জালে পড়া মাছের মতো।
ভাইরাল না হলেই কী ভাল হত? সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নে রানু জানান, ভাইরাল না হলেও অনেকে বিরক্ত করত তাঁকে। আর ভাইরাল হওয়ার পর তো বাইরে বেরোনো পর্যন্ত দুষ্কর হয়ে ওঠে। তবে আশপাশের প্রতিবেশীরা এসে দেখা করে যেতেন। অনেক স্বপ্ন নিয়ে গিয়েছিলেন মুম্বই। প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল অনেক। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেসব কিছুই হয়নি।
রানু জানান, মুম্বই থেকে ফেরার পর মাসে কখনো চার হাজার কখনো পাঁচ হাজার টাকা পেতেন। তারপর সেটাও বন্ধ হয়ে গেলে নিজেই গান গাইতেন, বাড়িতে ইউটিউবাররা আসে, তারা খাবার নিয়ে আসে। কেউ বিস্কুট, কেক, অনেক সময় বিরিয়ানিও আনে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই খাওয়া যায় না সেটা। ফেলে দিতে হয় ডাস্টবিনে।
রানুর অভিযোগ, ক্যামেরায় দেখানোর জন্যই বিরিয়ানি নিয়ে আসে ইউটিউবাররা। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই সেটা পচা বেরোয়, খাওয়া যায় না। যে খাবারটা ভাল হয় সেটা খান। বাকিটা ফেলে দেন। তাঁর বায়োপিক হচ্ছে শুনে খুশি রানু। এবার যদি তাঁর পরিস্থিতির একটু উন্নতি হয়, আশা শুভাকাঙ্খীদের।