বাংলাহান্ট ডেস্ক: নিজের গড় খড়গপুর সদরে জিততে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করেছিলেন হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)। জয় পেয়ে বিধানসভায় এসেও বিপদে পড়লেন নবনির্বাচিত কাউন্সিলর তথা বিধায়ক। জল খেতে বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে এসেছিলেন বিজেপি বিধায়ক। মাঝে জল খেতে কিছু সময়ের জন্য বাইরে বেরিয়েছিলেন তিনি। ফিরে এসে দেখেন গেটে তালা। তৃণমূল বিধায়ককে ঢুকতে দিলেও তাঁকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ করেন হিরণ।
তালা বন্ধ গেটের বাইরে দাঁড়িয়েই ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন হিরণ। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “কী ঐতিহাসিক দুর্ঘটনা! মানুষ এরকমও হতে পারে? আমি একজন বিধায়ক, আমাকে বিধানসভার ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। গেটে তালা মেরে দিয়ে চলে গিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, খড়গপুর পুরসভা নির্বাচনে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন হিরণ। খড়গপুর পুরসভা তৃণমূল নিজেদের দখলে রাখলেও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী হন পদ্মফুলের হিরণই। এরপরেই শোনা যায়, পুরসভার চেয়ারম্যান পদের জন্য খড়গপুর সদরের বিজেপি বিধায়ক হিরণকে তৃণমূল সমর্থন করতে পারেআর এই কারণেই নাকি জেনেশুনেই নিজের দলের থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন হিরণ।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে উপনির্বাচনে জিতে খড়গপুর সদর পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন তৃণমূলের বিধায়ক প্রদীপ সরকার। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান হিরণের কাছে। তবে পুরসভা নির্বাচনে অবশ্য ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জিতেছেন তিনি। কিন্তু প্রদীপ সরকারের নামে আসা উপর্যুপরি দুর্নীতির অভিযোগে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব।
সেই কারণেই এবারে প্রদীপকে সরিয়ে হিরণকে হিরণকে চেয়ারম্যানের আসনে বসানোর জল্পনা।
কানাঘুঁষো শোনা গিয়েছিল, হিরণ নাকি ফের বিজেপি বদলে তৃণমূলে ফিরবেন। কিন্তু বিধানসভায় এসে সে জল্পনা নস্যাৎ করে দিলেন হিরণ। তিনি স্পষ্ট জানান, তাঁর পক্ষে চেয়ারম্যান হওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব নয়। সংবাদ মাধ্যমে তাঁকে নিয়ে অনেক কিছু লেখালেখি হচ্ছে বলেও জানেন তিনি। তবে সেসব কোনোটাই সত্য নয় বলেও দাবি করেন হিরণ।