বাংলাহান্ট ডেস্ক : গতকালই পুতিন জানিয়েছিলেন যে যাই হয়ে যাক ইউক্রেন জয় না করে পিছু হটবে না রাশিয়া। কিন্তু এবার হঠাৎই শোনা গেল উলটো সুর। আপাতত কিয়েভ তাদের দেওয়া চারটি শর্ত মেনে নিলেই যুদ্ধ বিরতির পথে হাঁটবে মস্কো, এমনটাই জানালেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র। যুদ্ধ বিষয়ে এই প্রথম সরাসরি ভাবে কোনও মতামত জানানো হল ক্রেমলিনের তরফে।
কী কী শর্ত রাখল রাশিয়া?
১. রাশিয়ার দাবি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধই করতে চায় রাশিয়া। এবং তা বন্ধই করা হবে। কিন্তু ইউক্রেনকেও বন্ধ করতে হবে অভিযান। একবার যুদ্ধ বন্ধ হলে আর কোনও মতেই আক্রমণ হানা যাবে না।
২.ক্রিমিয়ার মুখপাত্রের দ্বিতীয় শর্ত এই যে ইউক্রেনকে নিজেদের সংবিধানকে সংশোধন করতে হবে। স্পষ্টতই রাশিয়া চায় যে ইউক্রেন কখনও ন্যাটো বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতন কোনও সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না হয়।
৩.রাশিয়ার তরফে আরও বলা হয়েছে, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ বলেই মানতে হবে ইউক্রেনকে। সরকারি স্বীকৃতি দিতে হবে এই ব্যাপারে।
৪. ক্রেমলিনের তরফে দাবি করা হয়েছে যে ডোনেটস্ক এবং লুগানস্ককে স্বাধীন দেশ হিসেবেই মেনে নিতে বাধ্য হবে কিয়েভ। ইউক্রেনে আক্রমনের আগেই এই দুই প্রদেশকে স্বাধীন দেশ বলে ঘোষণা করেছিল রাশিয়া। এতদিন অবশ্য তা স্বীকার করেনি ইউক্রেন। কিন্তু এবার এই শর্তেই যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হবে বলেই সাফ জানিয়ে দিল মস্কো।
পুরো ব্যাপারটিতে এখনও অবধি কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি ইউক্রেনের তরফে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমনের পর মাঝখানে কেটেছে দিন বারো। বিধ্বংসী যুদ্ধে ছাড়খার ইউক্রেন। তছনছ হয়ে গিয়েছে একের পর এক শহর। নিজে মাঠে নেমে সম্মুখ সমর লড়ছেন প্রেসিডেন্ট। এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জীবন নাকি স্বাধীনতা কোনটা বেছে নেয় ইউক্রেন সেটাই এখন দেখার।