বাংলাহান্ট ডেস্ক : বুধবার বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনে রাজ্যপালের ভাষণের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তৃতা দিতে গিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ আনতে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এদিন রাজ্যপালের বাজেট ভাষণের সময় বিধানসভার মধ্যেই গোলমাল পাকাতে দেখা যায় দুই বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় এবং মিহির গোস্বামীকে। এই অভিযোগে দুই নেতাকে বিধানসভা অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের সময়ও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা।
এদিন একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাকে প্রচার করতেই দেওয়া হয়নি। আমাকে লক্ষ্য করে গুলি পর্যন্ত চালানো হয়েছিল।’ এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘ওই সময়ে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করা হয়েছিল নন্দীগ্রামে। বাইকে করে যেতে হয়েছিল আমাকে। আমাকে আন্দোলন শেখাতে আসবেন না। আন্দোলন করা অত সহজ নয়।’ মমতা আরও যোগ করেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যাঁরা ষড়যন্ত্র করেছিলেন, সেই ষড়যন্ত্রকারীদের উচিত এখন মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা।’
এদিন কারও নাম না করলেও যে শুভেন্দুকেই আক্রমণ করলেন মমতা তা বলাই বাহুল্য। এদিন বিধানসভা কক্ষের বাইরে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আসলে নন্দীগ্রামে হারের যন্ত্রণা মুখ্যমন্ত্রী ভুলতে পারছেন না। তাই বারবার সেই যন্ত্রনা থেকেই এই কথা বলে যাচ্ছেন। এই মুখ্যমন্ত্রীকে বারবার শুনতে হয়েছে তিনি নন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী। সেই কষ্ট থেকেই বারবার এ কথা বলছেন। যদি নন্দীগ্রামে তাঁর কোনও অভিযোগ থেকে থাকে আর কেউ ষড়যন্ত্র করে থাকে, তাহলে তিনি তাঁর প্রশাসনকে দিয়েই তদন্ত করে দেখান।’
এই সমস্ত প্রসঙ্গের সুযোগে মমতাকে বিঁধতে ভোলেননি বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, ‘আমরা তো বলেই ছিলাম নন্দীগ্রাম একটা ষড়যন্ত্র। সেদিন বুদ্ধদার পাঞ্জাবিতে রক্তের দাগ দিয়েছিল এই মমতা। আজ এমন গাড্ডায় ফেঁসেছে যে হরহর করে সব বলে ফেলেছে।’